Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্রুজোনের মতে আজ চাপে থাকবে নেপালই

মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা নিতে চাইছেন নেপাল কোচ, ব্রুজোন বললেন চাপে নেপালই

কাল ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এলেনই না নেপালের কুয়েতি কোচ আবদুল্লাহ আল মুতাইরি। তাঁর বদলে সংবাদ সম্মেলনে এসে আনুষ্ঠানিকতা সারলেন নেপাল দলের সহকারী কোচ কিরণ শ্রেষ্ঠা।

কেন এলেন না আল মুতাইরি! তিনি কি কোনো মনস্তাত্ত্বিক খেলা খেলতে চাইলেন বাংলাদেশের সঙ্গে? তাঁর সংবাদ সম্মেলন না আসার কারণ হিসেবে অনুশীলনে ব্যস্ত থাকার কথা বলা হয়েছে। ব্যাপার অনেকটা এমন যে বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের ম্যাচের আগে আল মুতাইরি যেন গোপন কোনো কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত। নেপালি পত্রপত্রিকাগুলোও এমনটাই বলছে। নেপাল কোচ সংবাদ সম্মেলনে না এসে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে একটা মনস্তাত্ত্বিক খেলাই খেলেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন গতকালের সংবাদ সম্মেলনে চাপটা ঠেলে দিয়েছেন নেপাল দলের দিকেই। তাঁর ভাষায়, নেপালি কোচ আজকের ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত। তিনি জানেন না আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি কোন কৌশল গ্রহণ করবেন! সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের সামনে কৌশল একটাই—হয় মরো, না হয় মারো।

ব্রুজোন আজ পুরোপুরি অলআউট খেলাবেন বাংলাদেশকে

নিজের কথার পরিষ্কার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ব্রুজোন, ‘দেখুন, আমার মনে হয় কালকের ম্যাচে (আজকের ম্যাচে) নেপালই বিভ্রান্তিতে থাকবে। ম্যাচটা ড্র করলেও তারা ফাইনালে যাবে, জিতলে তো যাবেই। তাই তাদের কৌশলটা কী হবে, সেটি নিয়ে একধরনের বিভ্রান্তি কাজ করবেই—নেপাল কোচ দলকে রক্ষণাত্মক খেলাবেন, না আক্রমণাত্মক। সেদিক দিয়ে বাংলাদেশের কৌশলটা সোজাসাপটা। আমাদের জিততে হবে। গোল বের করতে হবে। জেতার জন্য আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে হবে প্রথম থেকেই।’

নেপাল আজ ড্র করলেই প্রথমবারের মতো সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে

২০০৫ সালে শেষবার সাফের ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শেষবার বাংলাদেশ হারিয়েছিল সেবারই। ১৬ বছর দেশের ফুটবলে সাফল্য নেই। এবার মালেতে সাফের ফাইনালে খেলার সুযোগটা যখন এসেছে, সেটা যেকোনো মূল্যে আদায় করে নিতে চান বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে সে জন্য নেপালের বিপক্ষে নিজেদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে জামাল-তপু-ইয়াছিনদের।

একটা ম্যাচে নাহয় নিজেদের ছাপিয়েই যাক বাংলাদেশের ফুটবলাররা!