Thank you for trying Sticky AMP!!

মন্দের ভালোতে বাংলাদেশের পেছনে ভারত

বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফাইল ছবি
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বে দক্ষিণ এশিয়া থেকে একমাত্র জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া গ্রুপের অন্য দুই ম্যাচে স্বাগতিক বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ১-০ গোলে হারলেও যুবাদের লড়াইয়ের প্রশংসা করতেই হয়।


এএফসি অনূর্ধ্ব–২৩ বাছাইপর্ব যেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য মৃত্যুকূপ। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমে হজম করতে হয় ভূরি ভূরি গোল। সদ্য সমাপ্ত বাছাইপর্বেও ফুটে উঠেছে তা। দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করেছিল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। চূড়ান্ত পর্বের টিকিট অর্জন তো দূরের কথা, শুধু একটি ম্যাচেই জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়টাও এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। বাকি দেশগুলোর অবস্থা শোচনীয়।

সদ্য সমাপ্ত বাছাইপর্বের ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ২-০ গোলে। এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাইপর্বের ইতিহাসে ১৩ ম্যাচে এটিই বাংলাদেশের প্রথম জয়। এ ছাড়া গ্রুপের অন্য দুই ম্যাচে স্বাগতিক বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে ১-০ গোলে হারলেও যুবাদের লড়াইয়ের প্রশংসা করতেই হয়। দক্ষিণ এশিয়া থেকে বাংলাদেশই একমাত্র দল, যারা জয়ের মুখ দেখেছে। গোলও হজম করেছে কম। তিন ম্যাচ খেলে দুই গোল হজমের বিপরীতে মাসুক মিয়া জনিরা করেছে দুই গোল। একই গ্রুপে থাকা শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচে কোনো গোল না করে হজম করেছে ২০ গোল। বাংলাদেশ যে বাহরাইন ও ফিলিস্তিনের বিপক্ষে সমান ১-০ গোলে হেরেছে, একই দলগুলোর বিপক্ষে সমান ৯-০ গোলে হেরেছে শ্রীলঙ্কা।

‘এফ’ গ্রুপে সুবিধা করতে পারেনি ভারতও। দুই ম্যাচে কোনো গোল না করে হজম করেছে ৫ গোল। প্রতিবেশী দেশটি প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে তাজিকিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে ২-০ গোলে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতকে টপকে মন্দের ভালো বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দলগুলোর মধ্যে বাকিদের অবস্থা আরও শোচনীয়।

সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় বাছাইপর্ব শেষ করেছে মালদ্বীপ। সিনিয়রদের ফুটবলে সাফ চ্যাম্পিয়ন দেশটির যুব দল গ্রুপ ‘ডি’–তে তিন ম্যাচ খেলে গোল হজম করেছে ১৫টি, করতে পারেনি একটিও। সৌদি আরব ও লেবাননের বিপক্ষে হজম করেছে সমান ৬টি করে গোল। ৩ গোল হজম করেছে আরব আমিরাতের বিপক্ষে।

গ্রুপ ‘এ’–তে নেপালের অবস্থাও ভয়াবহ। কোনো গোল না করে তিন ম্যাচে হজম করেছে ৮ গোল। হারগুলো যথাক্রমে ওমানের বিপক্ষে ১-০, কাতারের বিপক্ষে ৫-০ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২-০ গোল।

অন্যের হারের সঙ্গে নিজেদের হার তুলনা করে কম গোল খাওয়াকেই অর্জন বলে তৃপ্তির ঢেকুর তোলা বোকামি। তবে বাংলাদেশ এখান থেকে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি কুড়িয়ে নিতে পারে। এমনকি নিজেদের হেরে যাওয়া ম্যাচ দুটিও বাংলাদেশের জন্য হতে পারে প্রেরণার। ন্যূনতম ব্যবধানে হেরে যাওয়া দুই ম্যাচেই যে বাংলাদেশ ড্র কিংবা জয়ের মুখ দেখতেই পারত!