Thank you for trying Sticky AMP!!

মেসির কথা ভুল বুঝেছে সবাই

ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে মেসির কথাগুলো সংশয় ছড়িয়েছে। ছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি কথাটা বলেছেন প্যারিসে, এদিকে বার্সেলোনা থেকে আর্জেন্টিনা তো বটেই গোটা বিশ্বজুড়ে তাঁর সমর্থকদের মেরুদণ্ডে বয়ে গেছে শীতল রক্তের চোরা স্রোত। শুধু কী তাঁর সমর্থকদের, কথাটা যেকোনো ফুটবলপ্রেমীরও বুকে ধাক্কা দিয়ে গেছে হয়তো। কথাটা বাস্তবতার সাক্ষ্য দেয়, কিন্তু এই একটা ব্যাপারে বাস্তবতা মানতে যে মন নারাজ ফুটবলপ্রেমীদের। মেসি-রোনালদোদের অবসরের চিন্তা? নৈবচ! নৈবচ!

অথচ সেদিন অবসরের কথাটাই বলেছিলেন মেসি। প্যারিসের আলোঝলমলে মঞ্চে রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর হাতে পাওয়ার আগে লাল গালিচায় স্প্যানিশ ভাষায় যা বলেছিলেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ড, তার অর্থ দাঁড় করানো যাচ্ছিল এই—৩২ ছাড়িয়ে ৩৩ বছরের দিকে দৌড়াতে থাকা মেসির শরীরটা হয়তো বেশি দিন তাঁকে ফুটবল মাঠে দাপিয়ে বেড়ানোর অনুমতি দেবে না, অবসরের ভাবনা তাঁর মাথায় আছে।

তা মেসির কথা শুনে আর দ্রুতই দুঃসহ সেই নিশ্চিত ভবিষ্যতের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনায় যদি বিষণ্ন হয়ে থাকে মেসিভক্ত মন, তবে তাতে একটু স্বস্তি দেবে মেসিরই বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজের কথা। উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড বলছেন, মেসির সেদিনের কথাগুলো একটু ভুল বুঝেছে সবাই। আরও অনেক দিন থাকবেন মেসি।

‘বয়স কত হয়েছে, সেটার হিসেব তো আছে। এই মুহূর্তগুলো তাই আরও বেশি উপভোগ্য লাগে, কারণ অবসর ঘনিয়ে আসছে। এই সুন্দর সময়গুলো আর ফিরে পাব না’—ব্যালন ডি’অর গালায় গত সোমবার বলেছিলেন মেসি। অবসরের ভাবনাটা যে মাথায় আসছে, সেটিও জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি, ‘আশা করি, যদি ঈশ্বর চান, আমি আরও অনেক বছর খেলতে পারব। আমার বয়স এখনই ৩২ বছর, ৩৩ ঘনিয়ে আসছে। অনেক আগে থেকেই যেটা বলে আসছি, সবকিছুই নির্ভর করে আমি শারীরিকভাবে কী অবস্থায় আছি সেটার ওপর। এখন আমি অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছি, আশা করি অনেক দিন এটা চালিয়ে নিতে পারব।’

>

ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে লিওনেল মেসির কথায় তাঁর অবসরের গুঞ্জন উঠেছে। তবে লুইস সুয়ারেজ বলছেন, মেসির কথা ভুল বুঝেছে সবাই

ব্যস, মেসি কথাগুলো বললেন আর তাঁর অবসরের ভাবনাটা প্যারিস থেকে ছড়িয়ে গেল বিশ্বজুড়ে। একটা বিষাদের সুরও যেন শুনিয়ে গেল। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ৩৪ চলছে, এই মৌসুমে জুভেন্টাসের হয়ে এক ম্যাচ খেলছেন তো পরের ম্যাচে শরীরটা আর সায় দিচ্ছে না। হালকা চোটের নিয়মিত উৎপাত তাঁর শরীরে। গত বছর দশ-পনেরো তো মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথেই মুগ্ধ হয়ে ছিল ফুটবলবিশ্ব, সেটি বুঝি সমাপ্তির দিকেই যাচ্ছে! বাস্তব তা, কিন্তু মানতে চায় কে?

তবে সুয়ারেজ বলছেন, অন্তত মেসির ক্ষেত্রে এখনই অত বিষাদে পুড়তে হবে না। বিইন স্পোর্টসে বার্সার উরুগুইয়ান স্ট্রাইকারের কথা, ‘আমার মনে হয়, মেসির কথাগুলোকে ভুল বুঝেছে সবাই।’ কেন তাঁর এমন মনে হচ্ছে, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন সুয়ারেজ, ‘কারণ, প্রথমত আপনাকে বুঝতে হবে লিও তখনই মাত্র ব্যালন ডি’অর পেয়েছে। ও খুশি ছিল, একটু উত্তেজিতও ছিল। সে-ও তো আমাদের মতোই মানুষ। মেসি আরও অনেক দিন খেলবে।’

তা হলে তো ভালোই! মেসি-রোনালদোদের জাদু দেখার দিন দ্রুত না ফুরালেই যে ফুটবলের মঙ্গল। ফুটবলপ্রেমীদের আনন্দ।