Thank you for trying Sticky AMP!!

মেসি চলে গেলে বার্সার অবস্থা হবে ঠিক রিয়ালের মতো

গার্দিওলার চোখে মেসি-রোনালদোর মতো খেলোয়াড়েরা ক্লাব ছেড়ে যাওয়া মানে একটা ক্লাবের সংকটই।
>রোনালদো জুভেন্টাসে যাওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদ যে সমস্যায় পড়েছিল, মেসি চলে গেলে বার্সেলোনাও সে রকম বিপদে পড়বে বলেই মনে করেন পেপ গার্দিওলা।

ক্লাবের ক্রীড়া পরিচালক এরিক আবিদালের সঙ্গে ঝামেলা আপাতত মিটেছে লিওনেল মেসির, এমনটাই জানাচ্ছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম। বার্সেলোনা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমেউ কাল দুজনের সঙ্গেই বসেছেন, তারপরই নাকি এসেছে বার্সায় চলতে থাকা গৃহদাহের সমাধান। কিন্তু সমাধানটা কি স্থায়ী কিছু হলো?

শঙ্কা থাকছেই। মেসির চুক্তিতে শর্ত আছে, তিনি চাইলে এই মৌসুমের শেষে বার্সেলোনা ছেড়ে যেতে পারবেন, এ জন্য কোনো টাকাও খরচ করতে হবে না তাঁকে কিনতে আগ্রহী ক্লাবকে। ইতালির পত্রিকা গাজেত্তা দেল্লা স্পোর্ত এরই মধ্যে খবর ছেপেছে, মেসিকে পাওয়ার সম্ভাবনায় জুভেন্টাস, পিএসজি, ম্যানচেস্টার সিটিসহ পাঁচটি ক্লাবের চোখ চকচকও করতে শুরু করেছে।

মেসি শেষ পর্যন্ত যদি বার্সেলোনা ছেড়েই যান, কী হবে বার্সেলোনার? নিজেদের ইতিহাসের তো বটেই, তর্ক সাপেক্ষে ফুটবল ইতিহাসেরই সেরা খেলোয়াড়কে হারানোর ধাক্কা সামলাতে পারবে বার্সা? মেসির ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় অবদান রাখা কোচ পেপ গার্দিওলার তা মনে হচ্ছে না। বার্সেলোনারই সাবেক ও ম্যানচেস্টার সিটির বর্তমান কোচ বলছেন, মেসি চলে গেলে বার্সেলোনার সে অবস্থা হবে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো চলে যাওয়ার পর যে অবস্থা গত মৌসুমে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের।

পোস্ট ইউনাইটেডের নামের স্প্যানিশ এক ফুটবলবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রসঙ্গটা উঠেছিল রোনালদো যাওয়ার পরের রিয়ালের অবস্থা নিয়েই। রিয়ালকে টানা তৃতীয় ও পাঁচ বছরে চতুর্থ চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে ২০১৮ সালে রোনালদো ঘোষণা দিলেন, জুভেন্টাসে যাচ্ছি। এর পরের মৌসুম, অর্থাৎ গত মৌসুমে রিয়াল কী হযবরল অবস্থায় ছিল, তা তো সর্বজনবিদিতই। তিন দফা কোচ বদলে রোনালদোর সঙ্গেই রিয়াল ছেড়ে যাওয়া জিনেদিন জিদানকে আবার দশ মাস পর ফেরত এনেছে। মৌসুমে তিন শিরোপার প্রতিটির দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছিল মার্চের মধ্যেই।

সেটি নিয়েই পোস্ট ইউনাইটেডে কথা বলতে গিয়ে গার্দিওলা টেনে আনলেন মেসিকেও, ‘মাদ্রিদের এমন অবস্থা হওয়ারই কথা ছিল। (রোনালদোর মতো) এই খেলোয়াড়েরা এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা দলের জন্য! মেসি যখন বার্সেলোনা ছাড়বে, তখন বার্সেলোনারও এমন গুছিয়ে নিতে সময় লাগবে। এটা হবেই। এই ছেলেগুলো মৌসুমে ৪০-৫০টি করে গোল এনে দিচ্ছে দলকে!’