Thank you for trying Sticky AMP!!

মোহামেডানকে হারিয়ে রহমতগঞ্জের ইতিহাস

ইতিহাস গড়া দলের উল্লাস। ছবি: বাফুফে

শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গেই মোহামেডানের ফুটবলারদের কেউ কেউ জায়গায় শুয়ে পড়লেন । কেউবা বসে রইলেন মাথায় হাত দিয়ে। মাঠের অন্য প্রান্তে ততক্ষণে উল্লাস শুরু হয়ে গিয়েছে রহমতগঞ্জের। দেখে মনে হচ্ছিল এখনই শিরোপা জেতা হয়ে গেছে তাদের। এমন হওয়ারই কথা, আজ যে ইতিহাস গড়েছে পুরান ঢাকার দলটি। মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো উঠে গেছে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে।

১০ বছর পর ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ওঠার অপেক্ষায় ছিল মোহামেডান। এ নিয়ে মোহামেডান সমর্থকদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিল উন্মাদনা। কিন্তু পূর্ব গ্যালারিতে জড়ো হওয়া শ খানেক সমর্থকের হ্রদয় ভেঙে দিয়েছে ১৪ মিনিটেই। ম্যাচের মীমাংসা করে দেওয়া উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড তুরাইব আকবিরের গোলের পর আর ফেরাই হলো না মোহামেডানের।

তারুণ্য নির্ভর দুই দলের ফাইনালে ওঠার লড়াইটা হয়েছে উপভোগ্য। প্রতিপক্ষকে থামাতে দুই দলের কৌশলই ছিল হাই প্রেসিং। মোহামেডান তো প্রেসিং ফুটবল খেলেই সেমিফাইনালে এসেছিল। কিন্তু আজ মোহামেডানের ওষুধেই তারা ঘায়েল। রহমতগঞ্জের প্রেসিংয়ের সামনে পড়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলল মোহামেডানরা। নিচ থেকে বিল্ডআপ আক্রমণ, মাঝমাঠ শাসন ও প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেই ম্যাচটি বের করে নিয়েছে রহমতগঞ্জ। এর পাল্টা জবাব হতে পারত ব্যক্তিগত ঝলক। কিন্তু তা দেখিয়ে ম্যাচ বের করে আনার মতো কেউ নেই মোহামেডানের। তাদের মূল শক্তি দলীয় সংহতি। এখানেও তারা পিছিয়ে ছিল প্রতিপক্ষের চেয়ে।

৯ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত মোহামেডানই। উগুচুচুর কাট ব্যাক থেকে গোলমুখে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন মোহামেডানের জাপানিজ অধিনায়ক ঊরু নাগাতা। কিন্তু ঠিকমতো বলে পা লাগাতে পারেননি। ৬ মিনিট পরে উল্টো গোল হজম মোহামেডানের। রহমতগঞ্জকে এগিয়ে নেন তুরাইব আকবির। শাহেদুল আলমের ক্রস থেকে হেডে গোলটি করেন উজবেকিস্তানের এই স্ট্রাইকার।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুইটি বদল এনে ৪-১-৪-১ ফরমেশন ভেঙে ৩-৪-৩ ডায়মন্ড ফরমেশনে দল সাজিয়েছিলেন মোহামেডান কোচ শন লেন। শেষের দিকে অনেক চাপ সৃষ্টি করা গেলেও রহমতগঞ্জের জমাট রক্ষণ ভাঙা যায়নি। অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে উগুচুকুর ক্রস থেকে ফ্লিক করেছিলেন ঊরু নাগাতা। সাইড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে। ম্যাচ শেষে রহমতগঞ্জ কোচ গোলাম জিলানী জানিয়েছেন, ‘মোহামেডান খুব প্রেসিং করে খেলে। আজ আমরা শুরুর ১৫ মিনিট সেই কৌশলেই খেলেছি এবং তাতেই সফল। ’