Thank you for trying Sticky AMP!!

যে পাঁচ কারণে নেপালের বিপক্ষে এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে অনুশীলনে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ছবি: প্রথম আলো
>বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাতটায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ সন্ধ্যায় নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ড্র করতে পারলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যাবেন জামাল ভূঁইয়ারা। তবে বাংলাদেশের সামনে নেপাল আজ শক্ত প্রতিপক্ষই। তারপরও কোন কারণগুলোর জন্য তাঁদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে বাংলাদেশ, বিশ্লেষণ করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু।

সমীকরণ
সেমিফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ড্র আর নেপালের জয়। প্রথমত এই সমীকরণটাই মনস্তাত্ত্বিকভাবে এগিয়ে রাখছে বাংলাদেশকে। জয়ের জন্য অনেক চাপ নিয়ে মাঠে নামতে হবে নেপালকে। ফলে গোলের জন্য অনেক তাড়াহুড়া করতে দেখা যেতে পারে তাঁদের। ঠিক এখানেই এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। তেমন কোনো চাপ থাকবে না তাঁদের ওপর।

রক্ষণভাগের দৃঢ়তা
কোন সন্দেহ নেই নেপালের আক্রমণভাগ খুবই ভালো। তবে তাঁদের সামলানোর ক্ষমতা খুব ভালো ভাবেই রাখে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। টুর্নামেন্টে দুই ম্যাচে এখন পর্যন্ত কোন গোল হজম করেনি তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন বাদশারা। বড় কোন ভুলও করতে দেখা যায়নি তাঁদের।
এ ছাড়া রক্ষণভাগের সামনে হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে জামাল ভূঁইয়া বরাবরই ভালো করছে। ফলে পুরো রক্ষণভাগটাই থাকছে জমাট। তবে ‘সেকেন্ড বল’-এর বিষয়ে আরও সজাগ থাকতে হবে। অর্থাৎ নেপাল যখন ক্রস করবে বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা তা ‘ক্লিয়ার’ করার পর বলটা যেন বাংলাদেশের দখলেই থাকে।

প্রতি আক্রমণ
নেপাল জয়ের জন্য পুরোপুরি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলবে। যা বাংলাদেশের জন্যই ভালো সুবিধা এনে দিতে পারে। কারণ এই দলটা প্রতি আক্রমণে খুবই ভালো করছে। দলে দ্রুত গতির দুই উইঙ্গার বিপলু আহমেদ ও সাদ উদ্দিন আছে। এছাড়া স্ট্রাইকার মাহবুবুর রহমান সুফিলও দ্রুত গতির। ফলে কাউন্টার অ্যাটাকে নেপালের গোলমুখ খুলে যেতে পারে খুব সহজেই।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক কোচ সাইফুল বারী টিটু। ছবি: ফেসবুক

সেটপিসে উন্নতি
বিশ্বনাথের লম্বা থ্রো-ইন নিয়ে ইতমধ্যে হইচই পড়ে গিয়েছে। গোলমুখে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য থ্রো-ইন বাংলাদেশের জন্য এখন খুবই কার্যকরী। পরিকল্পনাটাও কাজে লাগতে শুরু করেছে। এছাড়া সেটপিসে ডিফেন্ডিংয়ের সময় বেশ ভালো উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। রক্ষণ করার সময় কে ম্যান-মার্কিং করবে, আর কে জোন-ব্লক করবে, তপু বর্মণ-বাদশাদের মধ্যে বিষয়টি এখন পরিষ্কার। ফলে সেটপিস ভীতি বাংলাদেশ শিবিরে আর নেই।

ফিটনেসে উন্নতি
নেপালিরা ফিটনেসে ভালো। কিন্তু তাঁদের চেয়ে ভালো অবস্থানে এখন বাংলাদেশ। বর্তমান সময়ে দলটির ভালো করার রহস্যের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ফিটনেসে উন্নতি। যার ওপর ভর করে এশিয়ান গেমসের পর সাফও মাতিয়েছে বাংলাদেশ।
খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষাতেই সব পরিবর্তনটা চোখে পড়ছে। আগে ফিটনেসের অভাবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝিতেই ক্লান্ত হয়ে যেতেন তাঁরা। মনোযোগ ধরে না রাখতে পারায় শেষ দিকে এসে গোল হজম করতে হতো। এখন অন্তিম মুহূর্তে গোল করে ম্যাচ জিতছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে কালকের গোলটি এসেছে ৮৫ মিনিটে। ম্যাচের শেষ দিকে এসে গোল করাটাই ফিটনেসের উন্নতির বড় লক্ষণ।