Thank you for trying Sticky AMP!!

যে রেকর্ড মেসিও হয়তো ভাঙতে পারবেন না

দুর্দান্ত এক রেকর্ড করেছেন হোয়াকিন। ছবি: বেটিস টুইটার
৩৮ বছরে প্রথম হ্যাটট্রিক, সেটাও আবার ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই। হোয়াকিনের এমন পারফরম্যান্স চমকে দিয়েছে সবাইকে।


গোল করার জন্য কখনোই বিখ্যাত ছিলেন না হোয়াকিন। স্প্যানিশ এই উইঙ্গারকে তবু বারবার দলে টানার চেষ্টা করেছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। কিন্তু রিয়াল বেটিস থেকে কখনোই তাঁকে নিতে পারেননি। এই উইঙ্গার পরে অন্য কিছু ক্লাব ঘুরে আবার বেটিসে ফিরেছেন নাড়ির টানে। ৩৯ বছরে পা রেখেও শুধুমাত্র ভালোবাসার টানে খেলে যাচ্ছেন সেভিয়ার ক্লাবটিতে। সে ভালোবাসাই গতকাল রাতে অনন্য এক রেকর্ডের সুযোগ করে দিল।

গতকালের ম্যাচটি সবদিক থেকেই বড় ছিল। এ মৌসুমে দুই দলই ধুঁকছে বেশ। তবু স্প্যানিশ রাজনীতি ও ফুটবল সংস্কৃতিতে বেটিস ও অ্যাথলেটিক বিলবাওর ম্যাচ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। এমন ম্যাচেই ভেলকি দেখালেন হোয়াকিন। ৩-২ গোলের জয়ের ম্যাচে দ্বিতীয় মিনিটেই গোলের মুখ খুলেছেন। ১১ মিনিটে বাঁকানো শটে দলকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে দিয়েছেন। আর ২০ মিনিটে পরিপূর্ণ এক স্ট্রাইকারের মতো ঠান্ডা মাথায় পূর্ণ করেছেন হ্যাটট্রিক। ২১ বছরের ক্যারিয়ারে এটাই তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক!

নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকেই অবশ্য রেকর্ড হয়ে গেছে হোয়াকিনের। লা লিগার ইতিহাসে তাঁর চেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিক করেননি কোনো ফুটবলার। এ যুগে এসে এত বেশি বয়সে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড ভাঙা যে কারওর জন্যই কঠিন হয়ে যাবে। লা লিগার সব রেকর্ড যাঁর দখলে সেই ৩২ বছর বয়সী মেসিও কিন্তু আগামী দুই-তিন বছরের মাঝে লা লিগার সঙ্গে সম্পর্ক গুটিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

নিজের প্রথম হ্যাটট্রিককেই অবশ্য শেষ বলে মেনে নিচ্ছেন হোয়াকিন, ‘আমার জীবনের প্রথম হ্যাটট্রিক, আমার মনে হয় না এটা আর কখনো হবে। আমি জীবনে কখনো গোল স্কোরার ছিলাম না। অ্যাথলেটিকের মতো প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিন গোল করতে পেরে সত্যিই গর্বিত। আর আমার বয়স চিন্তা করলে, কাজটা সহজ না।’

এবার অবশ্য যে ফর্মে আছেন তাতে হোয়াকিনের কথা বিনয় বলে ভ্রম হবে। এ মৌসুমে এর মাঝেই ছয় গোল হয়ে গেছে বেটিস অধিনায়কের। গতবার পুরো মৌসুমেই তাঁর ছয় গোল ছিল। এমনকি ২০০৩-০৪ সালের পর এর বেশি গোল আর কোনো মৌসুমে করেননি এই উইঙ্গার। গতকাল তো মৌসুমের সপ্তম গোলের দেখাও পেয়ে যেতেন, একটুর জন্য পারেননি। কোচ রুবি সেটা নিয়েই আক্ষেপ জানালেন, ‘দুঃখজনক যে ও চতুর্থ গোলটা হাতছাড়া করল। গোলের সবচেয়ে সহজ সুযোগ ওটাই ছিল। দেখিয়ে দিচ্ছে বয়স যাই হোক না কেন সে এখনো দুর্দান্ত।’