Thank you for trying Sticky AMP!!

রেফারি নিয়ম মানলে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা হতো না ম্যারাডোনার

সেদিন লাল কার্ডও দেখতে পারতেন ম্যারাডোনা। ফাইল ছবি

ত্রিশ বছর আগের ঘটনা। ১৯৯০ বিশ্বকাপের ফাইনাল আর্জেন্টিনা সমর্থকদের কাছে এখনো দুঃখের কারণ হয়ে আছে। সেবার আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়ে ১৯৭৪ সালের পর বিশ্বকাপ জেতে জার্মানি। ওই ম্যাচে রেফারি ছিলেন মেক্সিকান এডগার্ডো কোডেসাল। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে দিয়েছিলেন বিতর্কিত পেনাল্টি।

শুধু তাই নয়, ডিফেন্ডার পেদ্রো মনজন আর ফরোয়ার্ড গুস্তাভো দেজোত্তিকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলেন। লাল কার্ড দিতে পারতেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাকেও! কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যারাডোনাকে মাঠ থেকে বের করে দেননি। তবে ম্যারাডোনার সেদিনের আচরণ এখনো মনে রেখেছেন কোডেসাল।

ম্যারাডোনার সেদিনের আচরণে প্রচন্ড বিরক্ত ছিলেন কোডেসাল। উরুগুয়ের রেডিও টেন টেনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে সেই বিরক্তির কথা জানিয়েছেন এভাবেই, 'আমি তাকেও মাঠ থেকে বের করে দিতে পারতাম। কারণ সে কখনোই নিয়মকানুন তোয়াক্কা করতো না।'

ম্যাচের ৬৫ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মনজন। কিন্তু ম্যারাডোনা এই সিদ্ধান্ত মোটেও মানতে পারেননি। কোডেসাল সেই কথা মনে করে বলছিলেন , 'আমি যখন (পেদ্রো) মনজনকে লাল কার্ড দেখাই তখন সে আমার দিকে তেড়ে এসে বলে তুমি ফিফার লোক হয়ে ডাকাতি করেছো। আমি তখনই তাকে লাল কার্ড দেখাতে পারতাম। আমার দেখা সবচেয়ে বাজে লোক ছিল সে।'

এমনকি খেলা শুরুর আগেই ম্যারাডোনাকে মাঠ থেকে বের করে দিতে পারতেন কোডেসাল, 'আমি যদি নিয়ম মানতাম তাহলে পুরো স্টেডিয়ামের দর্শকদের অবমাননার দায়ে খেলা শুরু হওয়ার আগেই তাকে লাল কার্ড দিতে পারতাম।' যখন আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত বাজছিল তখন ম্যারাডোনা দর্শকদের দিকে কুৎসিতভাবে আঙুল দেখিয়েছিলেন।

ম্যারাডোনার প্রতিভা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই কোডেসালের। এ জন্যই যতটা সম্ভব মাঠে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন ১৯৮৬ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ককে, ' সে ছিল বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। কিন্তু সে এটা মাথায়ই রাখতো না। সে একজন পুরোদস্তর নেতা ছিল মাঠে। মাঠে জেতার জন্য যা করার সবটুকুই করতো।' যদিও ব্যক্তি ম্যারাডোনার চেয়ে ফুটবলার ম্যারাডোনাকে যথেষ্ট সম্মান করেন এই রেফারি।