Thank you for trying Sticky AMP!!

রোনালদোর পঞ্চম ব্যালন কষ্ট দিয়েছিল মেসিকে

রেকর্ড ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জিতে রোনালদোর সঙ্গে ব্যক্তিগত দ্বৈরথে আবার এগিয়ে গেলেন মেসি। ছবি: এএফপি

দুজনের ব্যালন ডি’অর জয়ের লড়াইটা পুরো ফুটবল ইতিহাসেই অনন্য। ২০০৮ সালে শুরুটা করেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পরের টানা চার বছর জিতে ব্যবধানটা ৪-১ করে ফেলেছিলেন লিওনেল মেসি। এতটা পিছিয়ে থেকেও ২০১৭ সালে এসে ঠিকই মেসিকে ছুঁয়ে ফেলেন পর্তুগাল ও জুভেন্টাস তারকা। গতকালকের আগ পর্যন্ত সমান পাঁচটি করে বিশ্ব সেরা খেতাব ভাগাভাগি করে আসছিলেন এ দুজন। গতকাল নিজের ষষ্ঠ ব্যালন জিতে আবারও লড়াইয়ে এগিয়ে গেছেন মেসি। প্যারিসের রেকর্ড গড়া রাতে মেসি জানিয়েছেন আরও একটি অজানা তথ্যই। রোনালদোর পঞ্চম ব্যালন ডি’অর জেতাটা না কি কষ্ট দিয়েছিল তাঁকে!

ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেয় যারা, সেই ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন মেসি। ওই সাক্ষাৎকারেই মেসি স্বীকার করেছেন, রোনালদোকে পঞ্চম ব্যালন হাতে নিতে দেখে কষ্ট পেয়েছিলেন।

ফ্রান্স ফুটবলের কাছে রীতিমতো অকপট মেসি, ‘একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পাঁচটি ব্যালন ডি’অর জেতার বিষয়টা আমি উপভোগ করতাম। মিথ্যা বলব না, ক্রিস্টিয়ানো (রোনালদো) পঞ্চম ব্যালন জেতার পর আমি কষ্ট পেয়েছিলাম। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে আমি আর শীর্ষে নেই, বিষয়টি মেনে নিতে আমার বেশ কষ্ট হয়েছিল। একমাত্র ফুটবলার হিসেবে শীর্ষে থাকার অনুভূতিটা আমি উপভোগ করছিলাম।’

পাঁচ বছরে চারটি ব্যালন ডি’অর জিতে মেসির সঙ্গে সমতায় ফিরেছিলেন রোনালদো। এবার তৃতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পর্তুগিজ তারকাকে। ছবি: এএফপি
>২০১৭ সালে ব্যালন ডি’অর জিতে লিওনেল মেসির সঙ্গে ৫-৫ সমতায় এসেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। গতকাল ষষ্ঠবারের মতো জিতে আবারও এগিয়ে গেছেন মেসি। প্যারিসের তারা ঝলমলে রাতে ব্যালন হাতে ওঠার পর মেসি স্বীকার করে নিয়েছেন, রোনালদোর পঞ্চম ব্যালন জেতাটা কষ্ট দিয়েছিল তাঁকে।

২০০৯ থেকে ২০১২— টানা চার বছরে চারবার ব্যালন ডি’অর জিতলেও পরের ছয় বছরে জিততে পেরেছিলেন মাত্র একবার। ক্লাব ফুটবলে ট্রেবল জয়ের পর ২০১৫ সালে বিশ্ব সেরা ফুটবলারের এ পুরস্কার হাতে তুলেছিলেন তিনি। এরপর আবার চার বছরের বিরতি দিয়ে এবার জিতলেন। অথচ এই সময়ে পাঁচ বছরের চারবার জিতে লড়াইয়ে তাঁকে ধরে ফেলেছিলেন রোনালদো। এত দীর্ঘ সময় ব্যালন ডি’অর জিততে না পেরে কি কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়েছিলেন মেসি? মেসি অবশ্য এই হতাশার ব্যাপারটা সরাসরি স্বীকার করেননি, ‘গত কয়েক বছরে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম কি না? আমি বুঝি কেন আমি গত কয়েক বছরে এটা জিততে পারিনি। দল হিসেবে আমাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য যেটি, সেই চ্যাম্পিয়নস লিগ আমরা জিততে পারিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে ব্যালন জেতার সম্ভাবনাও অনেকটা বেড়ে যায়।’

চ্যাম্পিয়নস লিগের মাহাত্ম্য জানা আছে বলেই রোনালদোর পাঁচ বছরে চারটি ব্যালন জেতাকে স্বাভাবিক মনে করছেন মেসি, ‘রোনালদো গত কয়েক মৌসুমে এতবার এটা জিতেছে, কারণ সে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে। শুধু জেতেইনি, শিরোপা জিততে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও রেখেছে। তাঁর এটা প্রাপ্য ছিল। এখানে আমার খুব বেশি কিছু করার ছিল না।’

২০১০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো ব্যালনের লড়াইয়ে শীর্ষ দুই থেকে ছিটকে পড়েছেন রোনালদো। গত বছর একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল মেসিরও, হয়েছিলেন পঞ্চম। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই তাই রোনালদোর মানসিক অবস্থাটা বুঝতে পারছেন মেসি। সে কারণেই কি না, রোনালদোর প্রতি সহমর্মিতা মিশে থাকল বার্সেলোনা তারকার কণ্ঠে, ‘আমি রোনালদোর হতাশা বুঝতে পারছি। আমরা সবাই হতাশা নিয়েই বেঁচে থাকি। তবে একেকজনের প্রকাশ করার ধরন একেক রকম। একজন সেরা অ্যাথলেট সব সময়ই জিততে চাইবে।’