Thank you for trying Sticky AMP!!

রোনালদো নয়, লেভানডফস্কির সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে

ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা এ বছরই কাটিয়েছেন লেভানডফস্কি। ছবি: টুইটার

সেই কবে ১৯৮১ সালে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগে। ৩৯ বছর পর আবারও এ গৌরব ক্লাবে ফিরিয়ে আনতে পারতেন বায়ার্নের আরেক ফুটবলার রবার্ট লেভানডফস্কি। এবারের মৌসুমে লেভানডফস্কির পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। অনেকেই তাঁর হাতে দেখছিলেন ব্যালন ডি’অর। যদিও অনেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং লিওনেল মেসিকেও পুরস্কারের অন্যতম দাবিদার ভেবেছেন।

কিন্তু এবার ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটি বাতিল ঘোষণা করেছে ফ্রান্স ফুটবল কর্তৃপক্ষ। এতে যতটা না হতাশ পোলিশ স্ট্রাইকার লেভা, এর চেয়েও বেশি খারাপ লেগেছে রুমেনিগের। বায়ার্ন মিউনিখের চেয়ারম্যান রুমেনিগে নিজের হতাশা মোটেও লুকোতে পারেননি। পুরস্কার বাতিলের সিদ্ধান্তটা ভালোভাবে নেননি জার্মানির সাবেক ফরোয়ার্ড।

পুরস্কারটা এবার লেভানডফস্কির হাতেই দেখছিলেন রুমেনিগে। লেভার জন্য ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুমই বলতে হবে এটাকে। বুন্দেসলিগায় ৩১ ম্যাচে করেছেন ৩৪ গোল। আর সব মিলিয়ে মৌসুমে তাঁর নামের পাশে বসেছে ৫১ গোল। মাত্র ৪৩ ম্যাচেই গোলের অর্ধ শতক হয়ে গেছে লেবানডফস্কির। তাই তো পুরস্কারটা বাতিল হওয়ায় হতাশ রুমেনিগে, ‘এবারের মৌসুমে রবার্ট লেভানডফস্কি দুর্দান্ত খেলেছে। এবং সম্ভবত সে তার ক্যারিয়ারের সেরা মৌসুম কাটিয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে ফ্রান্স ফুটবল ব্যালন ডি’অর বাতিল করেছে। ওদের এমন সিদ্ধান্তে আমরা মোটেই খুশি না। শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা মোটেও ভালো হলো না। এটা শুধু বায়ার্নের জন্যই না, রবার্ট লেভানডফস্কির জন্যও। ও এবার পুরস্কারটা জিততে পারত।’

ব্যালন ডি’অরটা লেভানডফস্কির হাতেই বেশি মানাত, অন্তত এমনটাই মনে হয়েছে রুমেনিগের, ‘অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি এই অবস্থায় রবার্টের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জেতার সুযোগ ছিল অনেক বেশি।’ শুধু রুমেনিগেই নন, বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিকও মনে করেন এবারের পুরস্কারের দাবিদার লেভানডফস্কি, ‘যদি আমি গোলের বিবেচনা করি তাহলে দেখব বুন্দেসলিগায় এ বছর সে ৩৪ গোল করেছে। তারপরও আপনি কেন ভাববেন না যে ব্যালন ডি’অর বুন্দেসলিগার কোনো খেলোয়াড় পাবে না?’