Thank you for trying Sticky AMP!!

লজ্জায় ডুবল নেইমারহীন পিএসজি!

পুরো ম্যাচে লিলের খেলোয়াড়দের উদ্‌যাপন এভাবে চেয়ে চেয়ে দেখেছেন এমবাপ্পেরা। ছবি: এএফপি
>সাত ম্যাচ হাতে রেখে গতকালই লিগ জয়ের উৎসব করার কথা ছিল পিএসজির। কিন্তু পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিল পিএসজিকে লিগ জয়ের উৎসব করতে দিল না। এমবাপ্পে-কাভানিদের ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে তারা।

সেই জানুয়ারির শেষ থেকে নেইমার মাঠে নেই। তাতে অন্তত লিগে পিএসজির কোনো সমস্যা হয়নি এত দিন। কিন্তু গতকাল নেইমারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেল দলটি। লিলের বিপক্ষে ৫-১ গোলে হেরে লজ্জায় ডুবেছে তারা।

নেইমার না থাকলেও দলে তো তারকার অভাব নেই। মাঠে ছিলেন স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পে ও এডিনসন কাভানি, ছিলেন দানি আলভেস, থিয়াগো সিলভা, মার্কো ভেরাত্তি, জুলিয়ান ড্রাক্সলারও। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। টমাস মুনিয়েরের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচের সাত মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে ভাগ্য বিপর্যয়ের শুরু। এর ঠিক চার মিনিট পর লেফটব্যাক হুয়ান বার্নাত সমতা ফেরালেও এই বার্নাতই দলকে বিপদে ফেলে ৩৬ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এর পরেই শুরু হয় ‘লিল-শো’। একে একে গোল করেন নিকোলাস পেপে, জোনাথান বাম্বা, গ্যাব্রিয়েল মাগালহাস ও হোসে ফন্তে। এমবাপ্পে একটা গোলও করতে পারেননি, উল্টো হলুদ কার্ড দেখেছেন। লিলের মাঠে যেখানে শিরোপা জেতার আগাম উৎসব করার কথা ছিল পিএসজির, সেই মাঠ থেকেই মাথা নিচু করে ফিরতে হলো তাদের। ফলে শিরোপা জয়ের উৎসব বিলম্বিত হলো অন্তত আরও এক সপ্তাহের জন্য। ম্যাচ হারার পরেও পয়েন্ট তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিলের সঙ্গে এখনো ১৭ পয়েন্টের ব্যবধান আছে পিএসজির।

ম্যাচ শেষে এমবাপ্পে নিজের বিরক্তি ঢাকার চেষ্টা করেননি একদম, ‘আমরা একদম নবিশের মতো খেলেছি। সামনের বুধবারের আগেই আমাদের এই হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
কিন্তু এমবাপ্পের সঙ্গে একমত হননি দলের কোচ টমাস টুখেল, ‘এমবাপ্পের মতো চাইলেই বলা যায় যে আমাদের জেতার ইচ্ছা ছিল না। আসলে তা নয়। আমাদের আরও খেলোয়াড় লাগবে। অসুস্থ খেলোয়াড় খেলিয়ে আপনি ম্যাচ জয়ের আশা করতে পারেন না। আমাদের মাত্র ষোলোজন খেলোয়াড় আছে। সামনের সপ্তাহে নঁতের সঙ্গে খেলা আছে, সে ম্যাচে হয়তো আমি মাত্র ১৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে যেতে পারব।’