Thank you for trying Sticky AMP!!

শিরোপা নিতে এসে পুলিশের মারামারি

পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সংগৃহীত ছবি

অনেক বছর পর প্রিমিয়ার ফুটবলে জায়গা করে নিয়েছে পুলিশ ফুটবল ক্লাব। তাও আবার এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রিমিয়ার লিগে উঠেছে তারা। আজ ছিল তাদের নিয়ম রক্ষার শেষ ম্যাচ। সে সঙ্গে শিরোপা বুঝে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই উৎসবের দিনে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হট্টগোল জড়িয়ে পড়ে তারা।

আজ ফেনী সকারের বিপক্ষে ৫-১ গোলে জয়ের পর চ্যাম্পিয়ন ট্রফি তুলে দেওয়া হয় পুলিশ দলের খেলোয়াড়-কর্মকর্তার হাতে। কিন্তু এমন আনন্দের ক্ষণটা হাতাহাতিতে জড়িয়ে মাটি করেছেন পুলিশ সদস্যরা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রিমিয়ার লিগ কমিটির ম্যানেজার জাবের বিন আনসারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ শামীম। ম্যাচ শেষের পর এই গন্ডগোলে হতবিহ্বল দর্শকসহ বাফুফের কর্মকর্তারা।

ক্ষুব্ধ জাবের বিন আনসারী বলছিলেন, ‘আমি ম্যাচ চলাকালে ওই পুলিশ সদস্যকে ১৫ নম্বর গেট দিয়ে মাঠে না ঢুকতে অনুরোধ করি। তিনি সাধারণ পোশাকে এসেছিলেন। তাঁকে বলেছিলাম, অ্যাফিলিয়েটেড সদস্যদের কার্ড যাঁদের নেই, তাঁরা এই গেট দিয়ে মাঠে ঢুকতে পারবেন না। তিনি ম্যাচ শেষে গেটের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। আমাকে দেখেই লাথি-ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন। বলেন, “তুই আমাকে এক ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছিস?”’

এরপর জাবেরকে রক্ষা করতে গেলে ফেডারেশনের নিরাপত্তারক্ষী মিজানুর রহমানও আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এমন ঘটনা মাঠে উপস্থিত থেকে দেখেছেন পুলিশের কর্মকর্তা (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) নুসরাত এদিব লুনা, যিনি ফুটবল দলের সহকারী ম্যানেজারও। ক্লাবের ম্যানেজার লুনা জানিয়েছেন, ‘আমি চেষ্টা করব অপরাধীর পরিচয় জানার এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’