Thank you for trying Sticky AMP!!

বাস্তবতা এখন বড়ই নিষ্ঠুর লিভারপুলের জন্য।

সাত মাসেই নির্মম বাস্তবতা দেখছে লিভারপুল

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন হতে ৩০ বছর সময় লেগেছিল লিভারপুলের। কিন্তু মাত্র ৭ মাসের মাথায় ক্লাবটি এই শ্রেষ্ঠত্ব হারানোর মুখে। রোববার অ্যানফিল্ডে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারাতে না পারলে শিরোপা ধরে রাখার লড়াই থেকে ছিটকে পড়বে লিভারপুল।

ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে এই নির্মম সমীকরণের মুখে পড়তে হচ্ছে কাল রাতে অঘটনের শিকার হওয়ার পর। অঘটন? হ্যাঁ, সে তো বটেই। পয়েন্ট টেবিলে অবনমন অঞ্চলের আশপাশে থাকা ব্রাইটনের কাছে কাল ১–০ গোলে হেরেছে প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ৫৬ মিনিটে স্টিভেন আলজাটের গোলে প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলকে প্রথমবারের মতো হারানোর স্বাদ পায় ব্রাইটন।

যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছে ব্রাইটন।

দুই সপ্তাহ আগে বার্নলির কাছে হারের আগে ঘরের মাঠে প্রিমিয়ার লিগে ৬৮ ম্যাচ অপরাজিত ছিল লিভারপুল। কিন্তু ব্রাইটনের কাছে হার দিয়ে সেই অ্যানফিল্ডেই টানা দুই ম্যাচ হেরে বসল স্বাগতিকরা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ১৪ জয় তুলে নেওয়া সিটি এই অ্যানফিল্ডেই নামবে লিভারপুলকে হারানোর পণ করে। লিগ শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে টিকে থাকতে এটি লিভারপুলের বাঁচা–মরার ম্যাচ। ২১ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে সিটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে চারে লিভারপুল। সিটির বিপক্ষে এ ম্যাচে ড্র করলেও শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে টিকে থাকতে পারবে না লিভারপুল।

ব্রাইটনের জয়সূচক গোলের সেই মুহূর্ত।

সিটি অবশ্য ২০০৩ সাল থেকে লিভারপুলের মাঠে জয়ের দেখা পায়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফর্মে আছে পেপ গার্দিওলার দল। এদিকে ঘরের মাঠে গত ৩৭ বছরের মধ্যে এবারই প্রথমবারের মতো টানা তিন ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হলো লিভারপুল। রোববারের লড়াইয়ে তাই মানসিকভাবে সিটিরই এগিয়ে থাকার কথা। কাল রাতে যোগ্যতর দল হিসেবে লিভারপুলকে হারিয়েছে ব্রাইটন। খেলার দ্বিতীয়ার্ধে গোল আদায় করে নেয় টেবিলে ১৭তম থেকে মাঠে নামা দলটি।

ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটে ব্রাইটনের গোলপোস্ট তাক করে মাত্র একটি শট নিতে পেরেছে লিভারপুল। দলটির কোচ ক্লপ অবশ্য ভাগ্যকে দুষতে পারেন। চোটের কারণে গোলপোস্টের ভরসা আলিসন বেকারকে পাননি। মাঝমাঠে ফাবিনহো ও আক্রমণে সাদিও মানেও ছিলেন না। নবি কেইতা ও দিয়েগো জোতাও বাইরে। আক্রমণভাগে রবার্তো ফিরমিনোকে বোতলবন্দী করে রেখেছিলেন ব্রাইটনের ডিফেন্ডাররা। মোহাম্মদ সালাহ কিছুই করতে পারেননি। ১৯৮২ সালের পর অ্যানফিল্ডে এটাই প্রথম জয় ব্রাইটনের।