Thank you for trying Sticky AMP!!

সালাউদ্দিনের ৩৬–এর জবাবে শফিকুলের ২১

বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েক দিন আগেই ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বাফুফের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ৩৬ দফার সেই ইশতেহারে আছে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি। সালাউদ্দিনের জবাবে ‘ভিশন-২০৩৩’ ব্যানারে ২১ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আজ ইশতেহার ঘোষণা করেছেন সভাপতি পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। সভাপতি পদে মনোনয়ন কেনা আরেক প্রার্থী বাদল রায় অবশ্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আগেই।

শফিকুল ইসলাম তৃণমূলের ফুটবলকে প্রাধান্য দিয়েছেন। জেলা ফুটবল ও ঢাকার সবচেয়ে জুনিয়র স্তরের ফুটবল পাইওনিয়ার লিগ থেকে প্রিমিয়ার পর্যন্ত লিগ টুর্নামেন্টকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আয়োজন করার জন্য শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে চান তিনি। তাঁর ইশতেহারে জাতীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু-তনয় শেখ জামালের নামে প্রতি বছর অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ঘরোয়া টুর্নামেন্টের বাস্তবায়নযোগ্য ক্যালেন্ডার কঠোরভাবে মেনে চলারও ঘোষণা আছে তাঁর ইশতেহারে।

১৯৮৫ সালে শফিকুল ইসলাম ছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নের অধিনায়ক। খেলেছেন মোহামেডানেও। পরে সনদধারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলেও।

জাতীয় দল নিয়েও ভাবনা আছে মানিকের ইশতেহারে। তিনি নির্বাচিত হলে জাতীয় দলের ফুটবলারদের বেতন কাঠামো ও ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করতে চান। এ ছাড়াও যেকোনো ধরনের আর্থিক অনিয়মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা বলেছেন তিনি। তিনি নির্বাচিত হলে ঘরোয়া ফুটবলের ‘ক্যানসার’ পাতানো খেলা চিরতরে বন্ধ করারও ব্যবস্থা নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আগামী ৩ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিন টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচন করছেন। ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক তারকা কাজী সালাউদ্দিন। এরপর ২০১২ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনে সভাপতি পদে এক সাংসদের সঙ্গে লড়তে হয়েছিল তাঁকে। এবার প্রথমে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েও শারীরিক কারণে সরে দাঁড়িয়েছেন আরেক সাবেক তারকা বাদল রায়। শফিকুল ইসলাম মানিকের প্রার্থিতা অবশ্য বেশ কৌতূহল ও বিস্ময় হয়েই এসেছে বাংলাদেশের ফুটবল অঙ্গনে।