Thank you for trying Sticky AMP!!

সিলেটবাসী মাঠে গিয়ে দেখতে পাবেন শিরোপা উৎসব?

কলিন্দ্রেসরা আজ জ্বলে উঠলে শিরোপা উৎসব হতে পারে বসুন্ধরার। ফাইল ছবি
>

৩ ম্যাচ হাতে রেখে আজই শিরোপা নিশ্চিত করতে পারে বসুন্ধরা কিংস। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে আজ শেখ রাসেলের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা নিয়ে ঢাকা ফিরবে বসুন্ধরা।

লিগ শিরোপা আর বসুন্ধরা কিংসের মধ্যে বন্ধুত্ব কেবলই সময়ের ব্যাপার। হাতে আছে চার ম্যাচ। যে কোনো একটিতে জিতলেই শিরোপা চলে যাবে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। কিন্তু চার ম্যাচের চিন্তা কে করছে, আজই শিরোপা বগলদাবা করে সিলেট থেকে ফিরতে চায় করপোরেট দলটি। আজ সিলেটে শেখ রাসেলকে হারাতে পারলেই তিন ম্যাচ হাতে রেখে অপরাজিত থেকে শিরোপা উৎসব করবে বসুন্ধরা। সিলেটবাসী ইচ্ছে করলে তো জেলা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে বসে সে উৎসব দেখতেই পারেন! ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।

সিলেটেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলবে বসুন্ধরা, সে নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ভালো একটি ফুটবল ম্যাচ উপভোগের নিশ্চয়তা দেওয়াই যায়। আজ ম্যাচটি হতে পারে বসুন্ধরার আক্রমণভাগ বনাম শেখ রাসেলের রক্ষণভাগের লড়াই। বসুন্ধরার স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজোন আক্রমণাত্মক ফুটবলের পূজারি। বিপরীতে জমাট রক্ষণভাগের জন্য সুনাম আছে রাসেল কোচ সাইফুল বারি টিটুর।

শেখ রাসেলের হোম ভেন্যু সিলেট জেলা স্টেডিয়াম। স্বাভাবিকভাবে নিজেদের মাঠটা খুব ভালো করেই চেনা আশরাফুল রানা, বিপলু আহমেদদের। তবে প্রথমবারের মতো সিলেটে খেলতে গিয়ে মোটেও অস্বস্তিতে নেই কিংসরা। বরং শিরোপা উল্লাসের সব রকম রসদই জমা করা আছে সেখানে। শুধু জয়ের ঘণ্টা বেজে উঠলেই সিলেট থেকে শুরু হবে শিরোপা উৎসব।

বসুন্ধরা শেষ কবে জেতেনি, এটা এখন আর কেউ কষ্ট করে মনে করতে চায় না। সেই যে লিগের প্রথম পর্বে নোয়াখালীতে বিজেএমসির সঙ্গে ড্র করেছিল, এর পর টানা ১৪ জয়ে এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে জয়ের রেকর্ড গড়েছে দলটি। সিলেটে এ রেকর্ড ১৫তম ম্যাচে নিয়ে যেতে পারবে বসুন্ধরা? যদি নিজেদের কাজটা নাও করতে পারে তারা, তাকিয়ে থাকতে পারে ঢাকার মাঠে। আজ ঢাকায় সাইফ স্পোর্টিংয়ের কাছে আবাহনী হেরে গেলেও বসুন্ধরা চ্যাম্পিয়ন। এ দুটি সমীকরণ না মিললেও বাকি তিন ম্যাচ তো পরেই আছে।

দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ফুটবলে এবারই আবির্ভাব হয়েছে বসুন্ধরার। ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হলেও স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন। আর প্রিমিয়ার লিগেও শিরোপা চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। লিগ অভিযানে ২০ ম্যাচে ১১ গোল হজমের বিপরীতে গোল করেছে ৫০ টি। আর ২০ ম্যাচে এক ড্র ছাড়া বাকি ১৯ ম্যাচেই জয়। দাপুটে এ পরিসংখ্যানই বলছে প্রতিপক্ষ দলের জন্য কতটা ভয়ংকর ছিল বসুন্ধরা।