Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতের মিডফিল্ডার ব্র্যান্ডনের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টায় বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।

সুদিন অবশ্যই ফিরবে ফুটবলে, জামালের আশা

বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ভারতের বিপক্ষে হার হতাশ করেছে সবাইকে। এক সুনীল ছেত্রী যেভাবে জোড়া গোল করে হারিয়ে দিলেন, তাতে আত্মোপলব্ধির ব্যাপারটা উঠে আসছে বাংলাদেশের ফুটবলে। সেই সঙ্গে পরশু রাতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ দলের সার্বিক পারফরম্যান্সও এখন সমালোচনার আতশ কাচের নিচে।

আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে না পারা, প্রতিপক্ষের গোলমুখে আতঙ্ক ছড়াতে না পারা, বল দখলের লড়াইয়ের দৈন্যদশা—ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেছে চরমভাবে। কিন্তু বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের কতটা ছুঁয়ে যাচ্ছে এ হতাশা? তাঁরাই বা কী ভাবছেন ভারতের বিপক্ষে এ হার নিয়ে?

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজের ফেসবুক পোস্টে নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন, ‘যেমনটা চেয়েছিলাম, সে অনুযায়ী মাঠের পারফরম্যান্স আর ফল না পাওয়াতে আমরা খুবই হতাশ।’

তাঁর পোস্টে ফুটে উঠেছে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের হতাশাও, ‘ম্যাচে আমাদের কী করা উচিত ছিল, কী করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি, এসব নিয়ে সমালোচনা হতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। ম্যাচের ৭৯ মিনিটে আচমকা গোল খেয়ে যাওয়াটা যে ভয়ংকর হতাশার।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে চার রেফারি ও প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে জামাল।

হতাশা, ভারতের বিপক্ষে হার মেনে নেওয়াটা কষ্টকর হলেও জামাল সামনের দিকে তাকাতে চান এখন, ‘আমাদের এগিয়ে যেতে হবে সব হতাশা পেছনে ফেলে। আরও বেশি পরিশ্রম করতে হবে। জীবনে কোনো কিছুই সহজে আসে না।’

ভারতের বিপক্ষে জেমি ডে-র কৌশল ৭৮ মিনিট পর্যন্ত ভালোই কাজে দিয়েছিল।

দেশের জার্সিতে খেলার ভালোবাসার কথাটাও সবশেষে উল্লেখ করে জামাল আশাবাদ জানিয়েছেন ভবিষ্যতের, ‘আমরা এ পতাকা আর এ দলটাকে কতটা ভালোবাসি, তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একদিন নিশ্চয়ই সুদিন আসবে আমাদের ফুটবলে।’