Thank you for trying Sticky AMP!!

জোড়া গোল করেছেন সালাহ।

‘সুপার স্মার্ট’ সালাহতে মুগ্ধ ক্লপ

অথচ এই লিভারপুলই কিছুদিন আগে হাজার চেষ্টা করেও গোল করতে পারছিল না।

একটা গোলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছিল লিভারপুল-শিবিরে। ফর্মে ছিলেন না মানে-সালাহরা। মাঝে একুশ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার লিভারপুল টানা চার লিগ ম্যাচে গোলহীন থেকেছে। ২০০০ সালের মে মাসে সদ্য প্রয়াত ফরাসি ম্যানেজার জেরার্ড হুলিয়েরের অধীনে এমন গোলহীন অধ্যায় কাটিয়েছিল দলটা। গোলখরা থেকে মুক্তি মিলেছিল গত মাসেই, টটেনহামের বিপক্ষে ৩-১ গোলে পাওয়া জয়ে। গত রাতে ইংলিশ লিগে ওয়েস্ট হামের বিপক্ষেও তারা একই ব্যবধানে জিতেছে। এ যেন সেই পুরোনো লিভারপুল!

ম্যাচের তখন ৫৭ মিনিট। মাত্রই জেমস মিলনারকে উঠিয়ে তরুণ কার্টিস জোন্সকে মাঠে নামিয়েছেন লিভারপুলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। জোন্স নেমেই বল নিয়ে এক টান দিয়ে চলে গেলেন ওয়েস্ট হামের বিপৎসীমার মধ্যে, বল পাঠালেন ডান দিকে থাকা মোহাম্মদ সালাহর দিকে। শতকরা নব্বই ভাগ সময়ে উইঙ্গাররা এমন জায়গা থেকে ক্রস করেন, কিন্তু সালাহ করলেন না। আস্তে আস্তে বাঁ দিকে কাট-ইন করে ঢুকে পড়লেন ডি-বক্সে। গুনে গুনে ছয়জন ওয়েস্ট হাম খেলোয়াড়ের মাঝখান দিয়ে অল্প একটু জায়গা পেয়েই বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে বল জড়ালেন গোলপোস্টের ওপরের এক কোনায়। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের জ্বলজ্বলে এক উদাহরণ।

দারুণ খেলেই জিতেছে লিভারপুল।

তার ঠিক ১১ মিনিট পরের কথা। মাত্রই ওয়েস্ট হামের একটা ভয়ংকর কর্নার ক্লিয়ার করেছেন লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসন। সেখান থেকে বলটা পেলেন রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড। নিখুঁত ক্রসে বল পাঠালেন ডানে থেকে আক্রমণে ওঠা সুইস উইঙ্গার জেরদান শাকিরি। বাঁ পায়ের আরেক লং বলে বল পাঠালেন বক্সে ঢুকে যাওয়া মোহাম্মদ সালাহর দিকে। গোলরক্ষককে বোকা বানাতে বেগই পাওয়া লাগল না মিসরীয় উইঙ্গারের। মাত্র চার পাসের দ্রুতগতির কাউন্টারে গোল। এ যেন সেই পুরোনো লিভারপুল! যাদের ক্ষুরধার প্রতিআক্রমণের ভয়ে সেঁধিয়ে যায় প্রতিপক্ষরা!

প্রথম গোলটা যদি ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ঝলক হয়, দ্বিতীয়টা হয় যদি ক্ষুরধার প্রতি–আক্রমণের নিদর্শন, তৃতীয় গোলটা অবশ্যই নিপুণ দলগত আক্রমণের ফসল। ডি-বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের একাধিক খেলোয়াড়ের মধ্যে ওয়ান-টু করতে করতে রবার্তো ফিরমিনো, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ড ও অ্যালেক্স অক্সলেড চেম্বারলিন যেভাবে জর্জিনিও ভাইনালডমকে দিয়ে গোল করালেন, বহুদিন মনে থাকবে লিভারপুল সমর্থকদের। শেষে ওয়েস্ট হামের ওয়েলশ ডিফেন্ডার ক্রেইগ ডসন গোল করলেও সেটা লন্ডনের ক্লাবটাকে সান্ত্বনার চেয়ে বেশি কিছু দিতে পারেনি।

মূল একাদশে ছিলেন না সাদিও মানে কিংবা রবার্তো ফিরমিনোর কেউ। পরে ফিরমিনো নামলেও মানে নামেননি। আক্রমণভাগকে বলতে গেলে একাই টেনেছেন সালাহ। আর তা দেখেই মুগ্ধ ক্লপ, ‘ও দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলেছে, তাই না? সবকিছুর মধ্যেই ছিল ও, বল পায়ে দক্ষ ছিল, ভালো পাস দিয়েছে। প্রথম গোলটা তো একদম সুপার স্মার্ট। কী অসাধারণ এক প্রতি–আক্রমণে এল দ্বিতীয়টা। সালাহর কাছে আসার আগপর্যন্ত দুই কি তিনবার বল স্পর্শ করতে হয়েছে, ব্যস।’