২৩ বছরের অপেক্ষার পর বড় একটা টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা। আনন্দটা বেশি দিন স্থায়ী হলো না স্কটল্যান্ডের। কাল রাতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরে বাক্স-পেটরা গোছাতেই হচ্ছে তাদের। তবে বিদায়লগ্নে স্কটিশ কোচের কথায় লুকা মদরিচের অনন্য ক্রীড়াশৈলীর প্রশংসাই শোনা গেল। তাঁর কথায় মনে হতে পারে, এমন একজন খেলোয়াড়ের কাছে হেরে যাওয়াতেও যেন আনন্দ আছে।
এবারের ইউরোতে স্কটল্যান্ড খেলতে এসেছিল দীর্ঘ এক যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর। প্রথম ম্যাচে চেক প্রজাতন্ত্রের কাছে হেরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র তাদের কাছে ছিল জয়ের মতো আনন্দের। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে অভাবনীয় কিছু ঘটিয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেবে তাদের দল—স্কটিশদের মনে ক্ষীণ হলেও প্রত্যাশাটা ছিল এমন। কিন্তু এ ম্যাচে যে তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন লুকা মদরিচ নামের এক দারুণ খেলোয়াড় ও তাঁর দল। দুই দলেরই পরের রাউন্ডে যেতে জয়ের দরকার ছিল। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে কেবল একটি পয়েন্ট তুলতে পেরেছিল স্কটল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া দুই দল। এই জায়গায় একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে থাকলেও স্কটল্যান্ড পিছিয়ে গেছে ম্যাচজয়ী ফুটবলারের অভাবে। আর লুকা মদরিচের মতো খেলোয়াড় থাকায় এ জায়গা বাজিমাত ক্রোটদের।
নিকোলা ভ্লাসিচের গোলে এগিয়ে গেলেও স্কটল্যান্ড ক্রোয়েশিয়াকে ছেড়ে কথা বলেনি। কালাম ম্যাকগ্রেগরের গোলে স্কটল্যান্ড সমতা ফেরালেও লড়াইটা বেশি দূর নিতে পারেনি স্কটল্যান্ড। মদরিচ আর পেরিসিচের দুই গোলেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। স্কটল্যান্ড ফুটবলার কিয়েরান টিয়ের্নি ম্যাচ শেষে তাঁর মুগ্ধতা গোপন রাখেননি, ‘ক্রোয়েশিয়া অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে আজ। বিশেষ করে লুকা মদরিচ। আমি তো মনে করি, তাঁর খেলা ছিল দুর্দান্ত।’
তিন বছর আগে ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ‘বড় ভাই’ ইংল্যান্ডের হার উদ্যাপন করেছিল স্কটিশরা। কাল রাতে ইতিহাসের চাকা ঘুরে গেল। চেক প্রজাতন্ত্রকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইংলিশরা মধুর প্রতিশোধ নিল স্কটল্যান্ডের বিদায় উদ্যাপন করে। তবে তিন বছর আগে-পরে ইংল্যান্ড-স্কটল্যান্ড দুই দলই লুক মদরিচ নামের এক দুর্দান্ত ফুটবলারের কাছেই পরাজিত।