Thank you for trying Sticky AMP!!

হরলান্ডকে চুপ করে দিয়েছেন লেভা।

হরলান্ডের চেয়ে লেফানডফস্কি যেন এককাঠি সরেস

বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার আর্লিং ব্রট হরলান্ডের উত্থানের পর থেকেই একটা প্রশ্ন ভেসে বেড়াচ্ছে। সাধারণত লিগের অন্যান্য ক্লাবে যে খেলোয়াড় ভালো খেলেন, সে খেলোয়াড়কে অধিকাংশ সময়ে লিগের সফলতম ক্লাবটা কিনে ফেলে। জার্মান লিগে বায়ার্ন মিউনিখও তার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমান সময়ে বায়ার্নে খেলা লেফানডফস্কি, নয়্যার, গোরেৎস্কা, সুলা, গেন্যাব্রি—প্রত্যেকেই বুন্দেসলিগার অন্যান্য আলো ছড়িয়েই বায়ার্নে এসেছেন। লেফানডফস্কি তো খোদ ডর্টমুন্ড থেকেই নাম লিখিয়েছেন বায়ার্নে, যে ডর্টমুন্ডে এখন আলো ছড়াচ্ছেন হরলান্ড।

লেফানডফস্কির বয়স বাড়ছে আস্তে আস্তে দলের মূল স্ট্রাইকার হিসেবে বায়ার্ন কি তবে হরলান্ডের দিকে নজর দেবে? বুন্দেসলিগায় কি তবে অস্তমিত হতে যাচ্ছে লেভা-সূর্য? গত মৌসুমে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের তকমা পাওয়ার পরেও এমন আলোচনা থামাতে পারছিলেন না লেফানডফস্কি। এমনকি কিছুদিন আগে বায়ার্নের কোচ হান্সি ফ্লিকও ব্যাপারটা একদম উড়িয়ে দেননি। জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে কোনো না কোনো সময়ে বায়ার্নে আসতেই পারেন হরলান্ড, লেফানডফস্কির হাত থেকে মূল স্ট্রাইকারের ব্যাটনটা ছিনিয়ে নিতে। কিন্তু বয়স হয়ে গেলেও যে লেভার ধার একটুও কমেনি, সেটা এবার হরলান্ডকে মাঠে রেখে তাঁর সামনেই দেখিয়ে দিলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। হ্যাটট্রিক করেই হারালেন হরলান্ডের দলকে। আর তাতে বায়ার্ন ডর্টমুন্ডকে হারাল ৪-২ গোলে।

হ্যাটট্রিক করেছেন লেভা।

ম্যাচের শুরুটা যদিও হরলান্ডেরই ছিল। নয় মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করে এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার জানিয়ে দিয়েছিলেন, কেন তাঁকে নিয়ে এত মাতামাতি। কেন রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্নের মতো ক্লাবগুলো তাঁকে পাওয়ার চেষ্টায় আছে। প্রথমে থরগান হ্যাজার্ড, পরে টমাস ডেলেনির সহায়তায় নয় মিনিটের মধ্যেই জোড়া গোল করে লেফানডফস্কিকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি কী জিনিস!

কিন্তু ম্যাচের ৮১ মিনিট যে তখনো বাকি ছিল! নিজের মাঠে এসে কোথাকার কোন দুদিনের ছেলে এসে শাসন করে যাবে, লেফানডফস্কির সেটা ভালো লাগবে কেন? পোলিশ এই স্ট্রাইকারও চুপ করে থাকলেন না। দেখানো শুরু করলেন নিজের জাদু। ২৬ মিনিটেই লিরয় সানের নিচু ক্রস ধরে করলেন নিজের প্রথম গোল। ভিএআরের সহায়তায় ৪৪ মিনিটে বায়ার্ন পেনাল্টি পেলে বিরতিতে যাওয়ার আগেই দলকে সমতায় ফেরান লেফানডফস্কি। বাকি গোলটা করেন ম্যাচের শেষ দিকে এসে। অর্থাৎ গোটা ম্যাচে হরলান্ডের চেয়ে একটি গোল বেশি লেফানডফস্কির। আক্ষরিক অর্থেই যেন বুঝিয়ে দিলেন, হরলান্ডের চেয়ে এককাঠি সরেস তিনি!

হরলান্ডের ঝলক দেখা গেছে প্রথম দশ মিনিটে।

তবে বাকি সময় হরলান্ড যে চুপচাপ বসে ছিলেন, এটা বললে হয়তো নরওয়েজিয়ান এই স্ট্রাইকারের প্রতি একটু অবিচারই করা হবে। পুরো ম্যাচ খেলতেই–বা পারলেন কোথায়? ৬০ মিনিটে গোড়ালির চোটে মাঠ ছেড়েছেন, বাকি সময়ে বেঞ্চে বসে বসে দেখেছেন লেভার তাণ্ডব। পুরো ম্যাচ খেললে হয়তো হরলান্ডের পা থেকেও আরও এক-দুটি গোল দেখা যেত!

হরলান্ড উঠে যাওয়ার পরেই ম্যাচের শেষ দিকে দুটি গোল করে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় বায়ার্ন। লেভা তো হ্যাটট্রিক করেছেনই, বাকি গোলটা পেয়েছেন জার্মান মিডফিল্ডার লিওন গোরেৎস্কা। জয় নিয়ে লাইপজিগকে টপকে বায়ার্ন উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। ওদিকে ডর্টমুন্ড পড়ে আছে আট নম্বরে।