Thank you for trying Sticky AMP!!

হাঁপ ছেড়ে বাঁচল জুভেন্টাস

শেষ মুহূর্তের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে জুভেন্টাস। ছবি: এএফপি

খেলার শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে জুভেন্টাস। জবাব দিতে খুব বেশি দেরি করেনি লোকোমোটিভও। ম্যাচের ১২ মিনিটের মধ্যেই ১-১ গোলের সমতা। এরপর গোলের দেখা নেই পুরো খেলায়। ততক্ষণে গোলের জন্য মরিয়া দুই দল। দৌড়ে শেষতক জিতল জুভরাই। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। যোগ হওয়া সময়ে রেফারি বারবার সময় দেখছেন কখন শেষ বাঁশি বাজাবেন। ঠিক তখনই স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দিয়ে বল জালে জড়ালেন কস্তা। ২-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জুভেন্টাস।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটিতে জুভেন্টাসের জয় বোধ হয় আগেই লিখে রেখেছিলেন ভাগ্যদেবী। তা না হলে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত সব সেভ করা লোকোমোটিভের গোলরক্ষক ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই অমন ভুল করবেন কেন! ৩০ গজ দূর থেকে রক্ষণ দেয়ালের ওপর দিয়ে রোনালদোর এক শটেই বোকা বনে গেলেন লোকোমোটিভের গোলরক্ষক। বল ধরতে গিয়ে হড়বড় করে ফেললেন। তাঁর পায়ের ফাঁক গলে বল বেরিয়ে যাওয়ার পথে বাকি কাজটুকু সারেন অ্যারন র‌্যামসে।
তবে ওই শেষ। এরপর দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে স্বাগতিকেরা। বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও প্রথমার্ধে জুভেন্টাসের রক্ষণে বেশ কয়বার ভয় ধরিয়ে দিয়েছে লোকোমোটিভের আক্রমণভাগ। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে জুভদের আর্জেন্টাইন তারকা হিগুয়েইন বলার মতো একটা শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা গোলের দেখা পায়নি। এর আগে অবশ্য প্রথম গোল হজমের পর সেটা পরিশোধে খুব বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকেরা। ম্যাচের ১২তম মিনিটে মিরানচুকের গোলে সমতায় ফেরে তারা।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়বার গোলের সুযোগ পেয়েছিল রুশ ক্লাবটি। কিন্তু একটিও কাজে লাগাতে পারেনি। গোলের জন্য মরিয়ে জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরাও প্রতিপক্ষের গোলমুখে শট নিয়েছেন বেশ কয়বার। ৫৬ মিনিটে হিগুয়েইনের বাড়ানো বলে জোরালো শট নেন রোনালদো। লোকোমোটিভের গোলরক্ষক রোনালদোদের গোলবঞ্চিত করেন। রোনালদোর বদলি হিসেবে দিবালা নেমেও কিছু করতে পারেননি। তবে কাজ হয়েছে খেদিরাকে তুলে ডগলাস কস্তাকে নামিয়ে। যোগ হওয়া সময়ে ব্রাজিলিয়ান এই তারকার গোলেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচে ইতালিয়ান ক্লাবটির সমর্থকেরা।

এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ১৬ নিশ্চিত করলো জুভেন্টাস ।