Thank you for trying Sticky AMP!!

১০০ গোলে রোনালদোর রাজত্বে মেসি

তৃতীয় সন্তানের মুখ দেখার পর প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন মেসি। ছবি: এএফপি
>
  • চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসির গোলের ‘সেঞ্চুরি’
  • রোনালদোর চেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১০০ গোল করলেন মেসি
  • ম্যাচ প্রতি গোল গড়েও মেসি রোনালদোর চেয়ে এগিয়ে

চ্যাম্পিয়নস লিগের মূল লড়াইকেও ছাপিয়ে যায় কোন লড়াই? নিঃসন্দেহে লিওনেল মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথ। প্রজন্মের সেরা এ দুই ফরোয়ার্ড প্রতিনিয়তই একে-অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। কাল যেমন চ্যাম্পিয়নস লিগে গোলের ‘সেঞ্চুরি’ করার পথে মেসি ছাপিয়ে গেলেন রোনালদোকে!

না, গোলসংখ্যায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে টপকে যেতে পারেননি। ছাপিয়ে গেছেন ম্যাচসংখ্যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে ন্যূনতম ১০০ গোলের রেকর্ড এত দিন শুধু রোনালদোর দখলেই ছিল। চেলসির বিপক্ষে কাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন মেসি। তবে বার্সেলোনো ফরোয়ার্ড গোলের ‘সেঞ্চুরি’ করার পথে রোনালদোর চেয়ে কম ম্যাচ খেলেছেন।

চেলসির মুখোমুখি হওয়ার আগে আসরটিতে মেসির গোলসংখ্যা ছিল ৯৮। জোড়া গোলের পর তাঁর গোলসংখ্যা এখন ঠিক ১০০। এ জন্য তাঁকে খেলতে হয়েছে ১২৩ ম্যাচ। রোনালদো ১৩৭ ম্যাচ খেলে ছুঁয়েছিলেন ১০০ গোলের মাইলফলক। অর্থাৎ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৪ ম্যাচ কম খেলে ১০০ গোল পেলেন মেসি।

মিনিটের হিসেবেও রোনালদোর চেয়ে কম সময় নিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ১০০ গোল করতে মাঠে তাঁর সময় লেগেছে ১০ হাজার ৯০ মিনিট। রোনালদো ১১ হাজার ৮৪৮ মিনিট সময় নিয়ে করেছেন ১০০ গোল। এ পথে গোলপোস্টে শট নেওয়ার ক্ষেত্রেও রোনালদোর চেয়ে মেসির নিশানা ভালো। ১০০ গোল করতে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে রোনালদোকে ৭৯০টি শট নিতে হয়েছে। মেসির লেগেছে ৫২৪ শট।

চেলসির বিপক্ষে কাল প্রথম গোল ধরেই একটি গোল পেয়েছেন মেসি। এর মধ্যে ২ মিনিট ৮ সেকেন্ডে করা ম্যাচের প্রথম গোলটি আবার তাঁর ক্যারিয়ারের (বার্সেলোনো ও জাতীয় দল) দ্রুততম গোল। ক্লাব এ দেশের জার্সি মিলিয়ে ৬০০ গোলের মাইলফলক টপকে যাওয়া মেসি কখনোই ম্যাচের দুই মিনিটের মধ্যে গোল করতে পারেননি।

কাল চেলসির বিপক্ষে বার্সার ৩-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে প্রথম গোলটি এসেছে তিন মিনিটের মধ্যে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো কোনো ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যে গোল করলেন মেসি। এর আগে তাঁর দ্রুততম গোলটি ছিল ২০১৪ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ২ মিনিট ২৬ সেকেন্ড সময়ে। তৃতীয় দ্রুততম গোলটি বার্সেলোনার হয়ে ২০১০ সালে রেসিং সান্তেন্দরের বিপক্ষে ২ মিনিট ২৮ সেকেন্ড সময়ে। আর চ্যাম্পিয়নস লিগে দ্রুততম গোল ছিল ২০১৬ সালে সেল্টিকের বিপক্ষে (২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড)।

চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর গোলসংখ্যা ১৪৮ ম্যাচে ১১৭। ম্যাচ প্রতি ০.৭৯ করে গোল করেছেন রিয়াল তারকা। এ তুলনায় মেসি কিছুটা এগিয়ে। ম্যাচ প্রতি ০.৮১ গোল গড়ে ১২৩ ম্যাচে ১০০ গোল করলেন মেসি। এর মধ্যে ২০টি গোল করেছেন ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে। চ্যাম্পিয়নস লিগে আর কোনো দেশের ক্লাবের বিপক্ষেই এত গোল করেননি মেসি। তবে চিরোর মুখ দেখাও হয়তো মেসিকে আলাদা প্রেরণা দিয়েছে এ ম্যাচে।

তৃতীয় সন্তান ‘চিরো’ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর কাল রাতেই প্রথম মাঠে নেমেই জোড়া গোল পেলেন মেসি। ২০১২ সালে থিয়াগোর বাবা হওয়ার পর টানা দুই ম্যাচে গোলবঞ্চিত ছিলেন তিনি। এর তিন বছর মাতেও জন্ম নিয়ে প্রথম ম্যাচে গোল এনে দিয়েছিলেন মেসিকে। থিয়াগো জন্ম নেওয়ার পর ২৬৯ আর মাতেওকে সঙ্গে নিয়ে ১২৪ গোল করেছেন মেসি। চিরো এসেই তাঁর বাবাকে কিন্তু প্রথম ম্যাচেই এনে দিলেন জোড়া গোল।