Thank you for trying Sticky AMP!!

৩-১-এর হতাশা ৫-২-এ ভুললেন নেইমাররা

>
বড় জয়ে রিয়ালের বিপক্ষে হারের দুঃখটা ভুলতে চাইল পিএসজি।
• লিগ ওয়ানে স্ত্রাসবুর্গকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
• জোড়া কাভানির; একটি করে নেইমার, ড্র্যাক্সলার ও ডি মারিয়ার।
• বড় জয়ে রিয়ালের বিপক্ষে হারের দুঃখ ভুলতে চাইল পিএসজি।
• স্ত্রাসবুর্গ অবশ্য শুরুতে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল পিএসজিকে।

পিএসজি কোচ উনাই এমেরি নিজেই বললেন কথাটা—বুধবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়াটা ছিল পিএসজির জন্য বড় ধাক্কা। গোটা দলকে এলোমেলো করে দেওয়া এই হারটা সামলে উঠতেও লিগ ওয়ানে স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা জরুরিই ছিল তাদের। ম্যাচটা ৫-২ গোলে জিতে বুধবারের কষ্ট কিছুটা হলেও ভুলেছে পিএসজি।

এমেরি নিজেদের মাঠে পিএসজির জয়ের রেকর্ডটাও অক্ষত রাখতে চেয়েছিলেন এই ম্যাচে, ‘বুধবারের পর এই ম্যাচটা জেতা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। আমরা ঘরের মাঠে সব ম্যাচ জিতেছি। আমাদের দেখাতে হতো আমরা বড় দলের বিপক্ষেও এই খেলাটাই খেলতে পারি। রিয়ালের বিপক্ষে হারটা নিয়ে আমরা ড্রেসিংরুমে কথা বলেছি। তারা ম্যাচটা ভুলতে পারছে না।’

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য স্ত্রাসবুর্গেরই ছিল। ষষ্ঠ মিনিটেই হিয়ান ইউডেস আহলোউয়ের গোলে এগিয়ে যায় স্ত্রাসবুর্গ। তবে পিএসজি ম্যাচে ফিরতে খুব বেশি দেরি করেনি। দশম মিনিটেই হুলিয়ান ড্র্যাক্সলারের গোলে স্বস্তি ফেরে পিএসজি শিবিরে। ২১ মিনিটে নেইমার প্রায় একক প্রচেষ্টায় গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। পরের মিনিটেই অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া স্কোরলাইন ৩-১ করেন। ৬৭ মিনিটে স্ত্রাসবুর্গের বাহোকেন গোল করে ম্যাচটা জমিয়ে দিয়েছিলেন।

কিন্তু ৩-২ ব্যবধানটা এরপরই বদলে যেতে শুরু করল। এডিনসন কাভানি ম্যাচের বাকি সময়টা পুরোপুরি নিজের করে নিয়ে দলকে বড় ব্যবধানেই জিতিয়ে ফেরান। ৭৩ ও ৭৯ মিনিটে পরপর দুটি গোল করে নিজের অপরিহার্যতাও প্রমাণ করেন এই উরুগুইয়ান।

এই জয়ে ২৬তম পর্ব শেষে মোনাকোর চেয়ে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে থাকল পিএসজি। তার চেয়েও বড় কথা, আত্মবিশ্বাস ফেরানো অতি জরুরি জয়টা পেলেন নেইমাররা।