Thank you for trying Sticky AMP!!

'ফেয়ার প্লে' নিয়ম নিয়ে কী বললেন সেনেগাল কোচ?

খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছেন, তাতেই সন্তুষ্ট সেনেগাল কোচ
ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে ‘ফেয়ার প্লে’ নিয়মের খড়গে কাটা পড়েছে সেনেগালের দ্বিতীয় রাউন্ড-স্বপ্ন। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পোড়া সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে এ ব্যাপারে জানালেন নিজের মতামত


জাপানের সঙ্গে সেনেগালের পয়েন্ট, গোল ব্যবধান, গোল দেওয়ার সংখ্যা, মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল—সব সমানই ছিল। কিন্তু এক দলকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর অপর দলকে রানার্সআপ তো হতেই হতো! কিন্তু এই সমস্যার সমাধানটা হলো ফিফার ‘ফেয়ার প্লে’ নিয়ম দিয়েই। সেই নিয়মে কাটা পড়ল আফ্রিকার দেশটিই। হলুদ কার্ডের সংখ্যা কম হওয়াতেই জাপান উঠে গেছে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে, বাদ সেনেগাল। ব্যাপারটি কীভাবে দেখছেন দলটির কোচ আলিউ সিসে! সেনেগালের এই কোচ অবশ্য পুরোপুরিই সন্তুষ্ট তাঁর দলের খেলায়।

ফিফার ‘ফেয়ার প্লে’ আইন নিয়ে তাঁর কোনো অসন্তুষ্টি নেই। ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা বিশ্বকাপের জন্য এই নিয়ম যখন করেছে, তখন সেটিকে নিয়ে বাঁকা মন্তব্য করার কোনো কারণ দেখেন না তিনি। সেনেগাল আরও একটু ‘ফেয়ার প্লে’ করতে পারত এমন বক্তব্যও মানতে চান না তিনি, ‘আমার দল যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি পুরোপুরি সন্তুষ্ট। ফেয়ার প্লে আইন বলুন আর যা-ই বলুন, এটা নিয়ম, এই নিয়ম আমাদের মেনে চলতে হবে। এ নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই।’

প্রথম রাউন্ডে জাপানি খেলোয়াড়েরা হলুদ কার্ড দেখেছেন ৪টা, যেখানে সেনেগালের খেলোয়াড়েরা দেখেছেন হাফ ডজন! মেরে না খেললে হয়তো সেনেগালই দ্বিতীয় রাউন্ডে যেত। সিসে এমন কথাবার্তা সমর্থন করেন না, ‘আমরা এভাবেই খেলি। এটাই আমাদের খেলার স্টাইল।’

সিসে অবশ্য নিজের আফসোস একেবারেই লুকাতে পারেননি, ‘সত্যি বলতে কি, বাদ পড়া নিয়ে আমার খেদ নেই। কিন্তু একটু অন্যভাবে বাদ পড়লে হয়তো খুশিই হতাম।’