Thank you for trying Sticky AMP!!

'বাচ্চা মরিনহো'র মুখোমুখি মরিনহো

মরিনহো জিতবেন, না বেবি মরিনহো? ছবি : এএফপি
>আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে হোসে মরিনহোর টটেনহাম হটস্পার মুখোমুখি হচ্ছে জার্মান ক্লাব আরবি লাইপজিগের। লাইপজিগের ম্যানেজার ইউলিয়ান নাগলসমান আবার পরিচিত ‘বেবি মরিনহো’ নামে!

আট বছর আগের কথা।
ইউলিয়ান নাগলসমান তখন হফেনহেইমের সহকারী কোচ। আর টিম ভাইজ একই দলের গোলরক্ষক। সহকারী কোচের একাগ্রতা ও খেলা নিয়ে দূরদৃষ্টি দেখে ভাইজ নাম দিলেন ‘বেবি মরিনহো’। হোসে মরিনহো তখন বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ। ইন্টার মিলানের হয়ে ‘ট্রেবল’ জিতে সদ্যই যোগ দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদে। তবে নাগলমানের নামের পাশে ‘বেবি মরিনহো’ তকমা আজ আট বছর পরেও রয়ে গেছে। আজ রাতেই চ্যাম্পিয়নস লিগে দেখা হচ্ছে দুই মরিনহোর। হোসের টটেনহামের সঙ্গে খেলতে নামবে নাগলমানের লাইপজিগ।

এই ‘বেবি মরিনহো’ তকমা অবশ্য খুব একটা পছন্দ নয় নাগলমানের। আর করবেন-ই বা কেন! নিজ যোগ্যতায় চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বকনিষ্ঠ ম্যানেজার হিসেবে নকআউট রাউন্ডে খেলছেন, নিজের নামে পরিচিত না হয়ে আরেকজনের নামে পরিচিত হতেই বা যাবেন কেন? ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনেই সেটা বোঝা গেল তাঁর কথায়, ‘এটা শুধুই লাইপজিগ ও টটেনহামের মধ্যকার একটা ম্যাচ। আট বছর আগে টিম ভাইজ আমাকে বেবি মরিনহো বলে ডেকেছিল। তা শুধু দুই সপ্তাহের জন্য। দুই সপ্তাহ পর সে আবার আমাকে ইউলিয়ান বলে ডাকা শুরু করে। ম্যাচটা শুধুই লাইপজিগ ও টটেনহামের মধ্যে। মরিনহো বনাম বেবি মরিনহো নয়।’

যদিও মিল খোঁজা শুরু করলে মরিনহো ও নাগলসমানের মধ্যে বেশ কিছু মিল পাওয়া যাবে। দুজনই নিজের দেশে কোচিং শুরু করে হাত পাকিয়েছেন। দুজনই শুরুতে খেলোয়াড় ছিলেন, দুজনই শারীরিক সমস্যার কারণে খেলোয়াড়ি ক্যারিয়ার বেশি দূর টানতে পারেননি। পরে দুজনই মনোযোগ দিয়েছিলেন কোচিংয়ে। প্রাথমিক সাফল্য অর্জন শেষে দুজনই এমন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন, যারা নতুন মালিকের অধীনে নতুন ইতিহাস রচনা করার অপেক্ষায় ছিল বা আছে। মরিনহোর ক্ষেত্রে চেলসি, নাগলসমানের ক্ষেত্রে এই লাইপজিগ।

তবে নাগলসমানকে বেবি মরিনহো বলা হলেও কৌশলগত দিক দিয়ে দুজন কিন্তু একদমই ভিন্ন। নাগলসমান পছন্দ করেন দলকে ৪-২-২-২ ছকে খেলাতে। ওদিকে মরিনহোর সবচেয়ে প্রিয় ছক ৪-২-৩-১। মরিনহোর গায়ে ‘রক্ষণাত্মক’ কোচের তকমা সেঁটে থাকলেও নাগলসমানের সে বালাই নেই।

চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে এই দুই দল। চোটে আক্রান্ত দুই দলই। টটেনহামের চোট সমস্যা মূলত আক্রমণভাগে। হ্যারি কেইনের পাশাপাশি চোটের কারণে ছিটকে গেছেন হিউং মিন সনও। ওদিকে লাইপজিগের চোটসমস্যাটা রক্ষণভাগে। দায়োত উপামেকানো, উইলি অরবান, ইব্রাহিমা কোনাতে— ডিফেন্ডাররাই চোটে আছেন মূলত।

নিজেদের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচের দশটিতেই জিতেছে টটেনহাম, হেরেছে বাকি চারটিতে। এর আগে মাত্র তিনবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে খেলেছে টটেনহাম, জিতেছে দুবার। জার্মান দলগুলোর বিপক্ষে দুই লেগের নকআউট পর্বে আট বার খেলে পাঁচটিতে জিতেছে টটেনহাম।

ওদিকে লাইপজিগের চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাস অতটা জাঁকজমকপূর্ণ নয়। এই প্রথম ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে কোনো ইংলিশ দলের মুখোমুখি হচ্ছে লাইপজিগ। ইউরোপিয়ান টুর্নামেন্টে দুই লেগের নকআউট পর্বে ছয়বার খেলেছে লাইপজিগ, জিতেছে পাঁচটিতে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ নিয়ে তৃতীয়বার খেলা লাইপজিগ মোট ম্যাচ খেলেছে ১২টি, জিতেছে ৫টি, হেরেছে ৪টি।

তবে শুধু টটেনহাম-লাইপজিগই নয়। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইতে আজ মাঠে নামবে ইতালিয়ান ক্লাব আটালান্টা ও ভ্যালেন্সিয়াও।