Thank you for trying Sticky AMP!!

'মানুষ মরছে, এ অবস্থায় খেলার চিন্তা হাস্যকর'

এ মৌসুমে আর ট্রফি জেতা হচ্ছে না রোনালদোর? ফাইল ছবি

ইউরোপের ফুটবল কর্তাব্যক্তিদের মাথায় হাত দেওয়ার দশা। ফুটবল লিগগুলো বন্ধ হয়েছে বহু আগেই। প্রথমে ভাবা হয়েছিল, মে মাসের মধ্যেই লিগ আবার শুরু হবে। কিন্তু ইউরোপে করোনা ভাইরাস এ সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবু যেকোনোভাবেই হোক, জুনের মধ্যে আবার ফুটবল মাঠে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে উয়েফা।

উয়েফার নির্দেশনার পর মে মাসেই অনুশীলনে ফেরার চিন্তাভাবনা করছে সিরি ‘আ’র ক্লাবগুলো। ইউরোপে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে ইতালি। এমন এক পরিস্থিতিতে আবারও ফুটবল খেলার কথা চিন্তা করাটা বেশ কঠিন। এ অবস্থায় অর্থকে গুরুত্ব দিয়ে উয়েফার এমন সিদ্ধান্ত খেপিয়ে তুলছে অনেককেই। কিছুদিন আগেই আয়াক্স কিংবদন্তি ওভারমার্স এ নিয়ে উয়েফা ও তাঁর দেশের ফুটবল কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেছেন। ইতালিতেও এ নিয়ে শোরগোল তুলেছেন পিয়ারপাওলো ম্যারিনো।

সিরি ‘আ’তে আশা করা হচ্ছে জুন বা জুলাইয়ে শুরু করে আগস্টে এ মৌসুমের বাকিটা শেষ করা সম্ভব। কিন্তু লিগের শেষ সাত দল মৌসুম বাতিলের পক্ষে। এর মাঝে সবচেয়ে নিরাপদ দূরত্বে থাকা উদিনেসের কারিগরি পরিচালক ম্যারিনো করোনা পরিস্থিতিতে খেলার কোনো প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পাচ্ছেন না। তুত্তোস্পোর্তকে বলেছে, ‘প্রতিদিন ৭০০ মানুষ মারা যাচ্ছ। এ অবস্থায় আবার খেলতে নামার প্রস্তাব আমার কাছে খুবই হাস্যকর মনে হচ্ছে। আমরা তো এখনো জানিই না কখন এই স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বেরোতে পারব আমরা।’

তড়িঘড়ি করে এ মৌসুমে খেলার চেষ্টা করলে ভবিষ্যতে এর ফল ভালো হবে না বলেই ধারণা ম্যারিনোর, ‘আমি ২০২০/২১ মৌসুম হোক, এটা চাই। যদি এই মৌসুম (২০১৯/২০) নিয়ে মাথা ঘামাতে যাই তাহলে পরের মৌসুম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেটা হবে আরও ভয়াবহ ধাক্কা।’

অবস্থার হালকা উন্নতি দেখা গেলেও সব ঠিক হয়ে যাবে ভেবে নিতে মানা করছেন ম্যারিনো। তাঁর ধারণা এই মহামারির প্রকোপ কমলেও আরও কিছুদিন সতর্ক থাকা উচিত সবার। তাই জুন-জুলাইয়ের দিকে মাঠে নামার পক্ষে নন, ‘ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ওরা (চীন) ভয়াবহতা কাটিয়ে উঠছিল। তখন ওরা কিন্তু র‍্যালি করার কথা বলেনি, ফুটবল খেলতে মাঠে নামেনি। যখন মানুষ শূন্য গ্যালারি বা কিছু দর্শক নিয়ে খেলার কথা বলে, আমি বলি আমরা একটা অ্যাপোক্যালিপটিক (সভ্যতা ধ্বংস করে দেওয়া বিপর্যয়) চলচ্চিত্রের মধ্যে আছি এবং কেউ সেটা বুঝছে না। কেউ মনে রাখবে না কে জিতল না হারল। এটা করোনাভাইরাস চ্যাম্পিয়নশিপ।’