Thank you for trying Sticky AMP!!

'১০৬' আর '২০০'-এর মধ্যে পার্থক্য বোঝা গেল না

লাইত খারুবের একমাত্র গোলেই সেশলসকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠেছে ফিলিস্তিন। ছবি: শামসুল হক
>সেশেলসকে ১-০ গোলে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে ফিলিস্তিন।

ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ফিলিস্তিন ১০৬ আর সেশেলসের অবস্থান ২০০। অন্তত র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারে দুই দলের পার্থক্য ৯৪। গাণিতিক সংখ্যাটা কিন্তু কম নয়। স্বাভাবিকভাবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেবারিটও ছিল ফিলিস্তিন। ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনালে পা রেখেছে তারাই। কিন্তু খেলা দেখে কে বলবে এই দুই দলের র‌্যাঙ্কিংয়ে পার্থক্য আকাশ-পাতাল!

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল ফিলিস্তিনই। কিন্তু তা শুধু দেখার জন্যই সুন্দর। প্রতিপক্ষ অর্ধের চেয়ে নিজেদের অংশেই বেশি পায়ে বল রেখেছে তারা। কার্যকরী ফুটবল বলতে যা বোঝায়, তা বেশি ফুটে উঠেছে সেশেলসের ফুটবলারদের পায়ে। শারীরিকভাবে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকায় ‘ডিরেক্ট’ ফুটবলে ফিলিস্তিন রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেছে তারা। ম্যাচ শেষে টিভিতে গোলের সুযোগের যে নয়টি হাইলাইটস দেখাল, সেখানে পাঁচটিই ভারদ মহাসাগরীয় আফ্রিকান দলটির। কিন্তু গোল নামের সোনার হরিণ দেয়নি ধরা।

অন্যদিকে সৌভাগ্যক্রমে বা ‘ভুলে’ পাওয়া একমাত্র গোলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে মধ্য প্রাচ্যের দেশটি। ৭৯ মিনিটে লাইত খারুবের পা থেকে এসেছে জয় সূচক গোলটি। মাহমুদ আবুওয়ার্দার বাতাসে ভাসিয়ে দেওয়া বলটি নিয়ন্ত্রণে না নিয়েই ডান প্রান্ত থেকে প্রথম স্পর্শে আলতো ক্রস করতে চেয়েছিলেন, সেই বলই ক্রসবারে লেগে প্রবেশ করে জালে। এই এক গোলেই নিষ্পত্তি হয়ে যায় ঢাকায় ফিলিস্তিনের আরও একটি ফাইনালের মঞ্চ।

প্রায় মূল জাতীয় দল নিয়েই ঢাকায় এসেছিল সেশেলস। কিন্তু কোনো জয় ছাড়াই দেশে ফিরতে হচ্ছে দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে। অন্যদিকে খর্ব শক্তির একটি দল নিয়ে এসেই টানা দ্বিতীয় ফাইনালে ফিলিস্তিন। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজিত রয়েছে তারা। তিন ম্যাচে কোনো গোল হজম না করেই ৫ গোল করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। শনিবার শিরোপার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ হবে কারা ? এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ ও বুরুন্ডির মধ্যকার আগামীকাল দ্বিতীয় সেমিফাইনাল পর্যন্ত।