Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্রিল এমবোলো

মাতৃভূমির বিপক্ষে গোল কীভাবে উদ্‌যাপন করেন তিনি

বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল, আর সেটিই উদ্‌যাপন করতে চাইলেন না ব্রিল এমবোলো! কীভাবে করবেন! গোলটি যে তিনি করলেন নিজের মাতৃভূমির বিপক্ষেই।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে বিশ্বকাপের গ্রুপ ‘জি’র ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে সুইজারল্যান্ড।

আর সেই গোল এসেছে ‘ক্যামেরুনিয়ান’ এমবোলোর পা থেকেই। আজ আল জানুব স্টেডিয়ামে ৪৮ মিনিটে যখন জেরদান শাকিরির পাস থেকে ক্যামেরুনের প্রতিরোধ ভাঙলেন এমবোলো, তখন তাঁর চেহারাই বলে দিল, মাতৃভূমির বিপক্ষে করা গোলটা ভেতরে–ভেতরে কতটা পোড়াচ্ছে ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে।

গোল পাওয়ার পর সুইস ফুটবলাররা উৎসব করতেই ছুটে এসেছিলেন এমবোলোর কাছে। কিন্তু ক্যামেরুনে জন্মানো এই ফুটবলার সতীর্থদের প্রতি দুই হাত জোড় করে জানিয়ে দেন, এই উদ্‌যাপন তিনি করতে চাইছেন না।

প্রথমার্ধ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার পর ৪৮ মিনিটে শাকিরির ক্রস থেকে গোল করেন এমবোলো। সেটিই ছিল ক্যামেরুনের গোলপোস্টে সুইজারল্যান্ডের প্রথম গোল। আর সেটিই কিনা নিলেন ক্যামেরুনে জন্ম নেওয়া ‘সুইস’ ফুটবলার!

৪৮ মিনিটে শাকিরির ক্রস থেকে গোল করেন এমবোলো।

এমবোলোর জন্ম ক্যামেরুনের রাজধানী ইওয়ান্দেতে, ১৯৯৭ সালে। পাঁচ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে চলে যান ফ্রান্সে। সেখান থেকে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে। বেড়ে ওঠা বাসেলে। ২০১৪ সালে সুইস নাগরিকত্ব পেয়েছেন। ফলে ম্যাচের আগেই আবেগের সঙ্গে লড়তে হয়েছে তাঁকে। আর সেটা নিয়েই তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচই খেলছি জন্মভূমির বিপক্ষে। এটা যেকোনো বিচারেই আমার ও আমার পরিবারের জন্য বিশেষ কিছু।’

Also Read: ‘বন্ধ দরজা’র পেছনে কী অনুশীলন করল আর্জেন্টিনা

তবে বিশ্বকাপে খেলা তাঁর কাছে বড় এক প্রাপ্তি। এই সুযোগকে বেশ উঁচুতেই রাখছেন, ‘যে দলের সঙ্গেই খেলা হোক না কেন, এটি বিশ্বকাপের ম্যাচ। আমি গর্বিত বিশ্বকাপ খেলতে পেরে।’

২০১৫ সাল থেকে সুইজারল্যান্ড জাতীয় দলে খেলছেন এমবোলো। খেলেছেন ৬০টির কাছাকাছি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া ম’গ্লাডবাখে খেলেছেন কিছুদিন। এরপর নাম লেখান ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’র ক্লাব মোনাকোতে। এই মৌসুমে ১৫ ম্যাচে মোনোকোর হয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ৭।

এটি তাঁর দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন। এবার সুইজারল্যান্ডের বাইরে তাঁর সমর্থন ক্যামেরুনও পাচ্ছে, জানিয়ে দিয়েছেন সেটাও। তবে তাঁর মতে সেই সমর্থন হবে শর্ত সাপেক্ষে, ‘সুইজারল্যান্ডের বাইরে আমি অবশ্যই ক্যামেরুনকে সমর্থন করব। তবে সেটি প্রথম ম্যাচের পর থেকে অবশ্যই।’

Also Read: ক্যামেরুন হেরে গেল তারই সন্তানের গোলে