Thank you for trying Sticky AMP!!

রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান তারকা ভিনিসিয়ুস

তরুণদের মধ্যে ড্রিবলিংয়ে সবাইকে ছাড়িয়ে ভিনিসিয়ুস

ফুটবলের সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যগুলোর একটি হচ্ছে একজন ফুটবলারের ড্রিবল করে সামনে এগিয়ে যাওয়া। যেকোনো ফুটবলারের সফল ড্রিবলিং প্রতিপক্ষ দল এবং খেলোয়াড়ের জন্য বিব্রতকর হলেও এর সৌন্দর্যকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

প্রায় সব খেলোয়াড়ই চেষ্টা করেন ড্রিবলিংয়ের জাদুতে সামনে থাকা খেলোয়াড়কে সম্মোহিত করে সামনে এগিয়ে যেতে। একজন নিখুঁত ড্রিবলারের উপস্থিতি দলের শক্তিও বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকাংশে। সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের তালিকায় যাঁদের উপস্থিতি, তাঁদের বেশির ভাগেরই বড় শক্তি ছিল ড্রিবলিং।

Also Read: বার্সায় ১ বছর থেকে আল হিলালে যাবেন মেসি

ড্রিবলিংয়ের মায়াজালে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের বশীভূত করে ফুটবলে অমর হয়ে আছেন গারিঞ্চা, পেলে, ডিয়েগো ম্যারাডোনা, ইয়োহান ক্রুইফ, রোনালদিনিওর মতো তারকারা। এ ছাড়া হালের লিওনেল মেসি, নেইমার কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরাও ড্রিবলিংয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন।

ড্রিবল করায় এগিয়ে আছেন তরুণ তুর্কি জামাল মুসিয়ালাও

প্রশ্ন হচ্ছে, এরপর কারা? তরুণদের মধ্যে পায়ের জাদুতে ফুটবল দুনিয়াকে মোহিত করতে উঠে আসছেন কোন ফুটবলাররা। তেমন খেলোয়াড়দের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ফুটবলভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিআইইএস ফুটবল অবজারভেটারি।

গত এক বছরের হিসাব কষে তারা দেখিয়েছে অনূর্ধ্ব ২৩ বছর বয়সে আক্রমণভাগের যেসব খেলোয়াড় ঘরোয়া লিগে অন্তত ১৫০০ মিনিট খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ড্রিবলিং করা খেলোয়াড়টি হলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রতি ড্রিবলে কত সময় লেগেছে, ড্রিবলে সাফল্যের হার এবং নিজ দলের খেলোয়াড় আর প্রতিপক্ষ দলের সক্ষমতা বিবেচনায় এই তালিকা তৈরি করেছে সিআইইএস।

Also Read: যেখানে নেইমারের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভিনিসিয়ুস

ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদে আসেন ভিনিসিয়ুস। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকাদের একজন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভিনি। গোল করেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালেও। সিআইইএসের হিসাব বলছে, দারুণ সময় পার করা ব্রাজিলিয়ান এই তারকা প্রতি ১৫ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে একটি ড্রিবল সফলভাবে করতে পেরেছেন। তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে তাঁর সাফল্যের হার ৫০.৩ শতাংশ।

Also Read: রিয়াল মাদ্রিদ আর এক ম্যাচ হারলেই বার্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন

ভিনিসিয়ুসের পরের নামটি অবশ্য খুব পরিচিত কারও নয়। তিনি হলেন সান্তোসের অ্যাঞ্জেলো গ্যাব্রিয়েল। ভিনিসিয়ুসের চেয়ে কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় ফুটবল খেলা ভিনির স্বদেশি এই ফুটবলারের সাফল্যের হার ৬৪.৩ শতাংশ। গ্যাব্রিয়েল প্রতি ১৩ মিনিট ৫৬ সেকেন্ডে একটি করে সফল ড্রিবল সম্পন্ন করেছেন।

তবে নিজ দল ও প্রতিপক্ষ দলের শক্তির মাত্রায় ভিনির চেয়ে পিছিয়ে আছেন এই ব্রাজিলিয়ান। তিন নম্বরে আছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা জামাল মুসিয়ালা, যাঁর সাফল্যের হার ৬০.১ শতাংশ। আয়াক্সের মোহাম্মদ কুদুস আছেন তালিকার ৪ নম্বরে।