Thank you for trying Sticky AMP!!

আইনজীবীর সঙ্গে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন দানি আলভেজ

আলভেজের শাস্তি কম হয়ে গেছে, মনে করেন সাবেক ব্রাজিল-সতীর্থ

দানি আলভেজ ও রবিনিও। ব্রাজিল জাতীয় দলে দুজনেই একসময় ফেলিপে মেলোর সতীর্থ ছিলেন। আলভেজ ও রবিনিও ধর্ষণের দায়ে জেলবাসের শাস্তি পেয়েছেন। সে জন্য সাবেক দুই সতীর্থের প্রতি মেলোর কোনোরকম সহানুভূতি নেই। আলভেজের সাড়ে চার বছরের শাস্তি কম হয়েছে বলেও মনে করেন মেলো।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার নৈশক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের গত ২২ ফেব্রুয়ারি আলভেজকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আলভেজ নির্দোষ দাবি করে এবং প্রসিকিউশন সাড়ে ৯ বছরের সাজা চেয়ে আপিল করেছে। ২০ মার্চ আপিল–নিষ্পত্তি পর্যন্ত আলভেজের জামিন মঞ্জুর করেছেন বার্সেলোনার আদালত।

রবিনিওকে ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল ইতালির আদালত। ২০১৩ সালে ইতালিতে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে শাস্তি হয়েছিল ব্রাজিল, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও এসি মিলানের সাবেক এই ফরোয়ার্ডের। কিন্তু রায়ের আগেই রবিনিও ইতালি ছেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিল সরকারকে শাস্তি কার্যকরের আহ্বান জানায় ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। গত ২০ মার্চ ব্রাসিলিয়ার আদালত রায় দেন রবিনিওকে ব্রাজিলেই সাজা খাটতে হবে। এরপর গত শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়।

Also Read: ১০ লাখ ইউরো জমা দিয়ে জামিন পেলেন আলভেজ

ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার ফিলিপ মেলো।

জুভেন্টাস, ইন্টার মিলান ও পালমেইরাসের সাবেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মেলো ২০১০ বিশ্বকাপে রবিনিও ও আলভেজের সতীর্থ ছিলেন। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবোস্পোর্তে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবিনিও ও আলভেজের শাস্তি নিয়ে কথা বলেছেন ৪০ বছর বয়সী মেলো। সাবেক দুই সতীর্থকে নিয়ে বেশ কড়া ভাষায় কথা বলেছেন তিনি, ‘প্রথম কথা হলো, এ বিষয়ে কথা বলতে কাউকে জোর করা হয়নি। তবে আমি কোনো সমস্যা দেখি না। আমার ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে আছে। ওরা যদি আমার মেয়ের সঙ্গে এটা করত, তাহলে আমার মনে হয় না এখানে বসে সাক্ষাৎকার দিতাম।’

মেলো এরপর স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘আমার মতে, মানুষকে সম্মান করতে হবে। নারীদের সম্মান করতে হবে। পুরুষদেরও সম্মান করতে হবে।’ আলভেজ ও রবিনিওর জন্য ফুটবল ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়ার দ্বার বন্ধ হয়ে গেছেও বলে মনে করেন মেলো। তবে তাঁরা নিজেরা যেন নিজেদের জন্য সুযোগের দ্বার রুদ্ধ না করে, সে কথাও বলেছেন ব্রাজিলের হয়ে ২০০৯ ফিফা কনফেডারেশনস কাপজয়ী সাবেক এ ফুটবলার, ‘তাদের আর ফুটবল খেলার সুযোগ নেই। কিন্তু যেটাই ঘটুক...তারা নিজেরা যেন নিজেদের পথটা রুদ্ধ না করে। কারণ, তারা আইন অনুযায়ীই সাজা খাটছে।’

মেলো মনে করেন আলভেজ এবং রবিনিওর জন্য সাজার মেয়াদটা কম হয়েছে, ‘সাজার মেয়াদটা কম হয়েছে। দানি আলভেজ তো এরই মধ্যে জেল থেকে বের হয়েছে। কোনো নারীর সঙ্গে এমনকিছু করার পর কেউ এমন (সুবিধা) কিছু পেতে পারে বলে আমি মনে করি না। একবার মেয়েটির কথা ভাবুন। সেও তো কোনো বাবা–মায়েরই মেয়ে...সন্তানদের শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব আমাদের, আর এটাও শিক্ষারই অংশ। এসব যেন না ঘটে সে জন্য ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে হবে।’

Also Read: আলভেজ, রবিনিও, রোনালদিনিও, আদ্রিয়ানো...ব্রাজিল তারকাদের যত বিতর্ক