Thank you for trying Sticky AMP!!

ব্রাজিলের এই হলুদ জার্সির প্রতি মারিও জাগালোর অসামান্য ভালোবাসা ছিল

‘প্রিয় বুড়ো নেকড়ে, সবকিছুর জন্য তোমাকে ধন্যবাদ’

ফুটবল ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে খেলোয়াড়-কোচ উভয় ভূমিকায় বিশ্বকাপ জিতেছেন। ব্রাজিলের পাঁচ বিশ্বকাপ জয়ের চারটিতেই তাঁর সরাসরি অবদান আছে। কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমের মতে, ২০০২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ী দলেরও উপদেষ্টা ছিলেন।

সেই মারিও জাগালো গত রাতে ওপারে পাড়ি জমিয়েছেন। ‘বুড়ো নেকড়ে’খ্যাত এই কিংবদন্তির মৃত্যুতে ফুটবল–বিশ্বে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

প্রিয় বুড়ো নেকড়ে, সবকিছুর জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ! তুমি সত্যিকারের বিজয়ী, ব্রাজিল জাতীয় দলের ঐতিহ্য। তোমার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার সৌভাগ্য হয়েছে। তোমাকে চিরকাল সম্মান জানানো হবে। আমি তোমার পরিবার, বন্ধু ও ভক্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। বিশ্ব ফুটবলের জন্যও এটা শোকের দিন। শান্তিতে ঘুমাও, জাগালো!
ব্রাঙ্কো, ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান ফুলব্যাক
কিছু ক্ষতি পায়ের তলার মাটি কেড়ে নেয়। এর মধ্যে এটি (জাগালোর চলে যাওয়া) একটি, সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতিগুলোর একটি। আপনারা জাগালো সম্পর্কে যতটুকু জানেন, টিভিতে বা সংবাদপত্রে যাকে দেখেছেন, আমার কাছে তা নয়। যখন ভেবেছিলাম আমার খেলোয়াড়ি জীবন শেষ হতে চলেছে, তখন সে আমার ক্যারিয়ার বাঁচিয়েছে। সে আমার ওপর আস্থা রেখেছিল। বলেছিল, আমি যদি মাঠে কিছু করে দেখাতে পারি, তাহলে সবাই আমাকে অনুসরণ করবে। আর আমরা বুঝতে পারব, যা–ই হোক না কেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হবই। তোমার চলে যাওয়া আমার কাছে দুঃস্বপ্ন নিয়ে বেঁচে থাকার মতো। তোমার অবদান আমরা চিরকাল স্মরণ করব। কোনো কিছুই দূরে সরে যেতে দেব না। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। তুমি আমার জীবন বদলে দিয়েছ। জাগালো, আমি মজা করছি না। সত্যিই তোমাকে ভালোবাসি। সারা জীবন ভালোবাসব।
রিকার্দো রোচা, ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান সেন্টারব্যাক
খবরটি শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। চোখে জল নিয়ে কথাগুলো লিখছি। তাঁর সঙ্গে শেষ বছরগুলো কাটিয়েছি। ফুটবলীয় দর্শন, কথোপকথন, কাজ সম্পর্কে ধারণা ও আত্মবিশ্বাস—সব মিলিয়েই তিনি একজন আইকন। তিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের প্রতিটি পদক্ষেপে ও অর্জনে অবদান রেখেছেন। আমার সঙ্গে কাটানোর প্রতিটি মিনিটের জন্য ধন্যবাদ। আমি সর্বদা তোমার কথা শুনেছি। আমার বুড়ো নেকড়ের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা।
মারিনিও, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার
তুমি আমাদের জন্য যা করেছ, শুধু ধন্যবাদই দিতে পারি। হলুদের প্রতি তোমার ভালোবাসা ছিল অতুলনীয়। ১৯৯৮ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের কথা কীভাবে ভুলতে পারি! পেনাল্টি শুটআউটের কয়েক মিনিট আগে তোমার সমস্ত শক্তি ও প্রত্যয় দিয়ে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলে। আমি সব সময় তোমার বড় ভক্ত। শান্তিতে ঘুমাও, বুড়ো নেকড়ে।
আলেক্সান্দার মাত্তোস, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল পরিচালক