Thank you for trying Sticky AMP!!

স্পেনকে নিয়ে বড় আশা করছি না

কাতার বিশ্বকাপের শুরু থেকে যা আশা করছিলাম, সেভাবেই এগোচ্ছে সব। আমার শীর্ষ দুই পছন্দের দল ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড সহজেই উঠে এসেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। চতুর্থ ফেবারিট আর্জেন্টিনাও শেষ আটে এসেছে। তৃতীয় ফেবারিট হিসেবে যাদের ধরেছিলাম, সেই ব্রাজিলও গত রাতে দক্ষিণ কোরিয়ার বাধা পেরিয়ে গেছে বলে আমার বিশ্বাস।

আজ শেষ ষোলোর শেষ দিনে যে চার দল খেলবে, তারা কেউই আমার সেরা চারে নেই। স্পেন-মরক্কো, পর্তুগাল-সুইজারল্যান্ড। খাতা–কলমে স্পেনকে এগিয়ে রাখতে হবে। আক্রমণে আলভারো মোরাতা গোল পাচ্ছে। দলটা খারাপ খেলছে না। তবে স্পেন স্বাচ্ছন্দ্যে জিতবে বলে মনে হয় না। মরক্কো খুব ভালো লড়াই দেবে বলে আমার বিশ্বাস।

অপ্রত্যাশিত কিছুও করে ফেলতে পারে উত্তর আফ্রিকার দেশটি। দলের প্রাণ আশরাফ হাকিমি জাতীয় দলের জার্সিতে পিএসজিতে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। সঙ্গে অন্যরাও সমর্থন দিতে পারলে কে জানে ১৯৮৬ সালের পর কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাবে কি না মরক্কো! মাঠে নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলবে, প্রতিপক্ষকে পাল্টাজবাব দিতে পারবে, জয় আসলে তাদেরই।

Also Read: রোনালদোর সামনে ‘আলপাইন মেসি’ 

স্পেনকে নিয়ে আমি বড় আশা করছি না। কারণ, ২০১০ সালে কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক যে মানের খেলোয়াড় নিয়ে বিশ্বসেরা হয়েছিলেন, ২০২২ সালে সেই মানের খেলোয়াড় দলে ততটা নেই। যদিও তাদের খেলার ছক একই আছে। মানে টিকিটাকাতেই আছে স্পেন। সেই বল পজেশন রেখে ছোট ছোট পাসে আক্রমণ। কিন্তু এ ছকটাকে কার্যকর করতে বর্তমান দলের ফুটবলারদের অনেকে এখনো তৈরি নয়, অনেকের বয়স কম।

পরিপক্বতা আসেনি এখনো। ফলে স্পেন ঠিক কত দূর যাবে, আমি নিশ্চিত নই। তরুণ গাভি, রদ্রি, আনসু ফাতিরা ভালো ফুটবলার, সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হয়, এই তরুণদের আরেকটু সময় লাগবে বিশ্বমঞ্চে।

ওদিকে নামের ভারে আজ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে কিছুটা এগিয়ে থাকবে পর্তুগাল। তবে ফ্রান্স বা ইংল্যান্ড জিতবে বলে যতটা জোর দিয়ে বলেছিলাম, ততটা বলতে পারছি না পর্তুগালকে নিয়ে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৩৭ বছর বয়সেও মাঠে সর্বোচ্চটা দিতে চায়, গোল করতে চায়। এটা বড় সুবিধা পর্তুগালের। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সুইজারল্যান্ডের গোলপোস্টের নিচে আছেন ইয়ান সোমার। বুন্দেসলিগায় বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের হয়ে পোস্টের নিচে নিজের আস্থা দেখিয়েছে সে।

Also Read: ‌আর্জেন্টিনা দলে মেসি যেমন, ‌ফ্রান্সে এমবাপ্পে তেমন

সুইজারল্যান্ড দলটা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রায় নিয়মিতই খেলে। ১৯৯৪ সাল থেকে ধরলে নিজেদের খেলা সর্বশেষ ৬টি বিশ্বকাপের ৫টিতেই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠেছে তারা। কাজেই সুইজারল্যান্ড আজ অঘটন ঘটিয়ে দিলে অবাক হব না। ম্যাচটা জমবে বলেই আমার বিশ্বাস।