Thank you for trying Sticky AMP!!

মেসি ও রোনালদো

এক রেফারির অভিজ্ঞতায় মেসি–রোনালদো যেমন

লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখন ভিন্ন দুই ভুবনের বাসিন্দা। মেসি খেলেন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে আর রোনালদো খেলছেন সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল নাসরে। প্রীতি ম্যাচ ছাড়া দুজনের তাই দেখা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

তবে এখনো নানা কারণে একসঙ্গে উচ্চারিত হয় মেসি ও রোনালদোর নাম। এবার যেমন মাঠে দুজনের আচরণের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে রেফারি সাইদ মার্তিনেজের মুখে। হন্ডুরাসের এই রেফারি মেসি ও রোনালদো মাঠে কেমন আচরণ করেন, সেই তুলনা টেনেছেন।

Also Read: ১৭ বছর পর যে ঘটনার সাক্ষী হলেন মেসি

হুন্ডুরাসের অন্যতম সেরা রেফারি হিসেবে বিবেচিত হওয়া মার্তিনেজ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে রেফারির দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপও আছে। পাশাপাশি মেসি ও রোনালদোর খেলা ম্যাচও পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।

এ কারণে মাঠে খুব কাছ থেকেই এ দুজনকে পর্যবেক্ষণ করেছেন তিনি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিও এএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্তিনেজ বলেছেন, ‘তারা একেবারেই আলাদা ব্যক্তিত্ব। কিন্তু দুজনই মহান খেলোয়াড়। আমি মনে করি না তারা একজন আরেকজনের চেয়ে সেরা।’

এক ফ্রেমে মেসি ও রোনালদো। দেখা যাচ্ছে নেইমারকেও

দুজনের শ্রেষ্ঠত্বকে দাঁড়িপাল্লায় মাপতে না চাইলেও তাঁদের সামলানোর অভিজ্ঞতা যে একই রকম নয়, তা অবশ্য ঠিকই বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্তিনেজ। তিনি বলেছেন, ‘মেসির বিরুদ্ধে রেফারিং করা খানিকটা আরামের। সে এমন একজন, যে বল নিয়ে খেলে এবং অন্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে খেলাতেই বেশি মনোযোগ দেয়। অন্য দিকে রোনালদো কাউকে অসম্মান না করলেও তার মধ্যে আবেগ দেখানোর প্রবণতা একটু বেশি। তবে তাদের ম্যাচ পরিচালনা করা বিশেষভাবে গৌরবের ব্যাপার, যা কিনা যে কেউ পেতে চাইবে। আর ফ্রি কিক থেকে এ দুজনকে গোল পেতে দেখা এমন কিছু, যা আমি কখনো ভুলতে পারব না।’

মেসির সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে মার্তিনেজ আরও বলেছেন, ‘মেসির সঙ্গে ম্যাচের আগেই আমরা হাত মেলাই। আমি তাকে স্বাগত জানাই এবং সে আমাকে ধন্যবাদ দেয়। আর ম্যাচ শেষে তার নাম ধরে স্লোগান দেওয়ার বিষয়টিও আমি মনে করতে পারি। সে তখন আমার সঙ্গে হাত মেলাতে আসে, আমি যা সব সময় মনে রাখব।’

Also Read: সৌদি আরবে মুখোমুখি হচ্ছেন মেসি-রোনালদো

রোনালদোর সঙ্গে মার্তিনেজের অভিজ্ঞতা অবশ্য খানিকটা উত্তাপেরই, ‘ক্রিস্টিয়ানোর সঙ্গে আমার গল্প হচ্ছে তাঁর অভিযোগ শোনার। কারণ, আমি তার দুটি গোল বাতিল করেছি। এমনকি সে ভিএআরকেও বিশ্বাস করে না। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আগে আমি তাকে ডাকি এবং বলি যে সে যেভাবে আমার ওপর চড়াও হয়েছিল, তা আমার ভালো লাগেনি। সে স্বীকার করে যে ভুল করেছিল এবং আমার সঙ্গে একমতও। এরপর সে খেলায় মনোযোগ দেয় এবং ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক গোল করে দলকে জিতিয়ে দেয়।’