Thank you for trying Sticky AMP!!

এক ভুলে প্রত্যাশার দৌড়টাই দিতে পারলেন না ইমরানুর

ইমরানুর বুঝলেন, অন্যরা আইন ভাঙলেও নিজের কাজটি করতে হবে

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী অ্যাথলেট ইমরানুর রহমানকে নিয়ে স্বপ্ন তো দেখাই যায়!

গত জানুয়ারিতে ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এসে প্রথমবারের মতো জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটারে দৌড়ে দ্রুততম মানব হন ইমরানুর। ভাঙেন ২২ বছরের পুরোনো রেকর্ডও। এতেই পেয়ে যান বাংলাদেশের হয়ে দৌড়ানোর সুযোগ।

কাল বেলগ্রেডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক। ৬০ মিটার ইভেন্টে ৬.৬৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে দেখালেন চমকও। একই হিটে দৌড়ে ৬.৮৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছেন কাঠমান্ডুতে সর্বশেষ দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের দ্রুততম মানব হওয়া মালদ্বীপের হাসান সাইদ। সেই তুলনায় ইমরানুরের টাইমিং অনেক আশাজাগানিয়া।

বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটারে লড়েছিলেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব

কিন্তু ফাইনালে ওঠার প্রত্যাশার দৌড়টাই দিতে পারলেন না বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। বাংলাদেশ সময়ে কাল রাতে সেমিফাইনালের হিটে ইমরানুরের প্রতিদ্বন্দ্বীরা দৌড়ালেও নিজের ব্লকে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। এর পর থেকেই প্রশ্ন, ইমরানুর দৌড়ালেন না কেন? বেলগ্রেড থেকে প্রথম আলোকে সে কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন ইমরানুর, ‘মনে হয়েছিল একজন অ্যাথলেট আগেই দৌড় শুরু করেছিলেন। তাই ভেবেছিলাম সবাইকে আবার ডাকা হবে। এ ঘটনায় আমার অনভিজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে।’

বড় একটা অভিজ্ঞতাই হলো ইমরানুর রহমানের

নতুন অভিজ্ঞতা থেকে নতুন শিক্ষাও নিচ্ছেন ইমরানুর, ‘আমার শিক্ষা হয়েছে! অন্যরা একটু আগে শুরু করলে কিংবা আইন ভাঙলেও আমার থামা যাবে না।’ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সিতে দৌড়। তা-ও আবার বিশ্ব পর্যায়ের টুর্নামেন্টে। এ ব্যাপারে ইমরানুর বলছিলেন, ‘জাতীয় দলের হয়ে খেলা আমার জন্য সম্মানের এবং আমি গর্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি।’

সেমিফাইনালে দৌড় শেষ না করতে পারার অংশটুকু বাদ দিলেন ইমরানুরের বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকটা ভালোই হয়েছে বলা যায়। নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ইমরানুরের মূল্যায়ন, ‘আমি জানি না সেমিফাইনালে যাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য বড় কোনো অর্জন কি না! তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে খুশি। একই সঙ্গে হতাশও। ভালো টাইমিং করে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছি। কিন্তু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে শেষটা ভালো হলো না।’