Thank you for trying Sticky AMP!!

কোচের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ নারী খেলোয়াড়ের

>বাস্কেটবল খেলোয়াড়কে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন কোচ। সেই ভিডিও বিওএতে জমা দিয়েছেন অভিভাবকেরা।
আবারও ক্রীড়াঙ্গনে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটল। প্রতীকী ছবি

এমনিতেই দেশে মেয়ে বাস্কেটবল খেলোয়াড় কম। জাতীয় দলের কার্যক্রম সেভাবে নেই বললেই চলে। এবারের এসএ গেমসে প্রথমবারের মতো খেলবে মেয়েদের জাতীয় বাস্কেটবল দল। আয়োজক নেপাল অলিম্পিক কাউন্সিলকে অনেক অনুরোধ করে মেয়েদের বাস্কেটবল অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশগুলো। কিন্তু বাংলাদেশের মেয়েরা সেখানে খেলতে যেতে উৎসাহ পাচ্ছে না।

অভিযোগ উঠেছে প্রায়ই এসএ গেমসের ক্যাম্পে কোচের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন মহিলা বাস্কেটবল খেলোয়াড়েরা। জাতীয় নারী বাস্কেটবল দলের কোচ সবুজ মিয়ার কাছে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন একাধিক নারী খেলোয়াড়। গত জুলাই থেকে এসএ গেমসের ক্যাম্পের অনুশীলন শুরু হয়েছে বাস্কেটবলে। ওই ক্যাম্পে বিভিন্ন সময়ে অনুশীলন চলাকালে মেয়েদের গায়ে চড় থাপ্পড় মারেন কোচ, এমনকি গাছের ডাল ভেঙেও তা দিয়ে আঘাত করেন।

বিকেএসপিতে অনুশীলনের সময় এক খেলোয়াড়কে অনুশীলনে চড় থাপ্পড় মারছেন কোচ সবুজ মিয়া—এমন এক ভিডিও আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনে (বিওএ) জমা দিয়েছেন এক খেলোয়াড়ের অভিভাবক। বিভিন্ন সময়ে লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে এরই মধ্যে দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন খেলোয়াড় তাসফিয়া চৌধুরী।

ক্ষুব্ধ তাসফিয়া আজ প্রথম আলোকে বলছিলেন, ‘অনুশীলনে আমরা খারাপ করলেই কোচ আমাদের গায়ে হাত তোলেন। বিভিন্ন সময়ে আমাদের বকাঝকা করেন। আমরা বাবা মায়ের কাছেই কখনো বকুনি খাই না। কিন্তু এভাবে অনুশীলনে এসে কোচের কাছে মার খেয়ে খুব খারাপ লেগেছে। আমি বাবা-মাকে ঘটনাটা বলেছি। এটা শুনে আমাকে তারা নেপাল পাঠাতে চাইছেন না । আমরা এমন কোচ জাতীয় দলে চাই না।’

পুরো বিষয় জানতে কোচ সবুজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কোচ এ অভিযোগ স্বীকার করেননি। তবে এটাও যোগ করেছেন, ‘কেউ খারাপ করলে কোচ হিসেবে একটু বকাঝকা করার অধিকার তো আছেই।’