Thank you for trying Sticky AMP!!

অলিম্পিক নিয়ে মানুষের আগ্রহ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাপান

জাপানে সংক্রমণের রেকর্ড ভাবাচ্ছে না অলিম্পিক আয়োজকদের

অলিম্পিকের মাঝপথেই কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ড গড়েছে জাপান। করোনাভাইরাস আবির্ভাবের পর আজ বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো দেশটিতে ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। অলিম্পিকের শহর টোকিওতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৫ জন। তবে জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে অলিম্পিকের কোনো রকমের সম্পর্কের কথা নাকচ করে দিয়েছে গেমস কর্তৃপক্ষ।

এখন পর্যন্ত অলিম্পিক ভিলেজে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৩ জন। সর্বশেষ করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে গেমস থেকে ছিটকে গেছেন পোলভল্টের দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্যাম কেনড্রিকস। আজ আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪, এখন পর্যন্ত এক দিনে যা সর্বোচ্চ।

অলিম্পিক নিয়ে টোকিওবাসীর ক্ষোভ কমছে না

তবে টেস্টের তুলনায় সংক্রমণের হার মাত্র ০.০২ শতাংশ বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস। তাঁর মতে, অলিম্পিক থেকে টোকিওর জনসংখ্যার মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা নেই একটিও, ‘বিশ্বের কোথাও আমাদের মতো পরীক্ষা করা হচ্ছে না। পাশাপাশি অ্যাথলেটদের ভিলেজে অন্যতম কঠিন লকডাউন দেওয়া আছে।’

অলিম্পিকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১০৯ জনই জাপানের নাগরিক, বাকিরা বাইরের দেশের। বিশেষজ্ঞদের মতে, অলিম্পিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রভাবে ফেলতে পারে জাপানের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর। তবে আয়োজকদের দাবি, দেশটির স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর কোনো রকম চাপ ফেলছে না অলিম্পিক। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাত্র দুজনকে নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে অলিম্পিক কমিটির তত্ত্বাবধানেই।

এখনো প্রতিবাদ করছেন টোকিওর নাগরিকেরা

জাপানের মেডিকেল সংস্থার প্রধান হারুও ওসাকি বলছেন, জাপানের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ওপর অলিম্পিকের আক্রান্তের সরাসরি না হলেও একটা প্রভাব আছে, ‘যখন এমন একটা উৎসব চলছে, তখন তো লোকে নিজেদের বন্দী করে রাখতে চাইবে না।’
তবে টোকিওর গভর্নর ইউরিকো কইকে বলছেন, অযথা বাইরে না যাওয়ার ক্ষেত্রে বরং অলিম্পিক সহায়তাই করছে, টেলিভিশনে মানুষ এটি দেখছে। ফলে লোকের ঘরে থাকার সংখ্যা বাড়ছে। সে সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণ।

কঠোর লকডাউন না দিয়েও এখন পর্যন্ত জাপানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ হাজার। তবে মোট জনসংখ্যার চার ভাগের এক ভাগ এখন পর্যন্ত টিকা পেয়েছেন। অলিম্পিকেও আছে কঠোর বিধিনিষেধ। প্রায় সব ইভেন্টেই দর্শক প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।