Thank you for trying Sticky AMP!!

আগেরবারের চেয়ে এবার যুব ও ক্রীড়ায় বাজেট কমেছে।

৩৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ কমেছে যুব ও ক্রীড়ায়

খেলাধুলায় কঠিন এক বছর পার করেছে দেশ। করোনার কারণে অনেক আয়োজনই বাতিল করতে হয়েছে। শিগগিরই আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ারও লক্ষণ নেই। করোনার প্রভাব পড়েছে আজ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও। গতবারের চেয়ে এই বাজেটে বরাদ্দ কমেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের।

কমে যাওয়া অঙ্কটা বেশ বড়, ৩৫৬ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ১ হাজার ৪৭৮ কোটি। কিন্তু করোনায় অনেক খাতেই অর্থ ব্যয় করা যায়নি। ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ১২৭ কোটি ২৯ লাখ। এবার সেই ১ হাজার ১২৭ কোটি থেকেও ৫ কোটি ৬৯ লাখ টাকা কমিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

বাজেটে মূল ব্যয় হয় পরিচালন খাতে। বিদায়ী বছরে এই খাতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। এবার বরাদ্দ হয়েছে ৮৪১ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই খাতে কমেছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। তবে এবার উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ বেড়েছে। গত সংশোধিত বাজেটে প্রস্তাবিত উন্নয়ন খাতে ব্যয় বরাদ্দ ছিল ২৩৩ কোটি। খরচ হয় ২৩০ কোটি টাকা। এবার ৪৭ কোটি টাকা বেড়ে উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হয়েছে ২৭৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

বাজেট সামগ্রিক ব্যয় কমে যাওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান। প্রথম আলোকে তিনি বলেছিলেন, ‘করোনায় খেলাধুলা আয়োজন করা না গেলে বাজেটে বরাদ্দ দিয়েও লাভ নেই। কাছাকাকাছি সময়ে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণও দেখা যাচ্ছে না।’ করোনার কারণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনেক খেলা আয়োজনই করতে পারেনি। ফলে সেসব খাতে এবার আর টাকা বরাদ্দ হয়নি বলে জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তবে তিনি আশাবাদী ছিলেন উন্নয়ন বরাদ্দ বাড়বে এবং সেটাই হয়েছে।

আজ জাতীয় সংসংদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তাঁর বাজেট বক্তব্যে বলেছেন, ‘সরকার জাতীয় ও অন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্রীড়ার মানোন্নয়নে নীতি-কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে আসছে। খেলাধুলার সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশব্যাপী আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুলসহ ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ চলমান। এ ছাড়া ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের ১৪টি প্রকল্প চলমান।’

ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া না যাওয়ায় ক্রীড়াঙ্গনের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।