Thank you for trying Sticky AMP!!

নোভাক জোকোভিচ

জোকোভিচের ভেতরের ‘জন্তুকে’কে জাগিয়েছেন তরুণেরা

রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালের ছায়ায় লম্বা সময় পর্যন্ত ঢাকা ছিলেন নোভাক জোকোভিচ। কিন্তু সেই ছায়ার বৃত্ত ভেঙে এখন জোকোভিচই ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা খেলোয়াড়। এ বছর ইউএস ওপেন জিতে ২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা। পুরুষদের মধ্যে এককভাবে সবার ওপরে থাকলেও সম্মিলিতভাবে শীর্ষস্থানটি ভাগ করে নিতে হয়েছে জোকোভিচকে।

অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি টেনিস তারকা মার্গারেট কোর্টও ২৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন।
গ্র্যান্ড স্লাম জয়ে রেকর্ডের চূড়ায় উঠেও অবশ্য তৃপ্ত নন জোকোভিচ। এখন তাঁর চোখ এককভাবে শীর্ষে ওঠার দিকে। আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন দিয়েই লড়াইটা শুরু করবেন জোকোভিচ। যেখানে তাঁকে লড়তে হবে মূলত তরুণদের সঙ্গে। ৩৬ পেরোনো জোকোভিচও বলেছেন, তরুণেরাই তাঁর ভেতরের ‘জন্তু’টাকে জাগিয়ে তুলেছেন।

Also Read: জোকোভিচ-আলকারাজ মানেই যেন ধুন্ধুমার টেনিস লড়াই

চলতি বছর চার গ্র্যান্ড স্লামের তিনটিতেই জিতেছেন জোকোভিচ। শুধু উইম্বলডনটা হাতছাড়া হয়েছে। চারে চার না হলেও এখন পুরুষদের মধ্যে রাফায়েল নাদালের চেয়ে দুটি বেশি গ্র্যান্ড স্লাম আছে জোকোভিচের দখলে, আর গত বছর টেনিসকে বিদায় জানানো কিংবদন্তি রজার ফেদেরারের চেয়ে জোকোভিচ চারটি বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন

ফেদেরারের অবসর এবং নাদালের চোটের কারণে গত বছরের পুরোটাজুড়েই জোকোভিচকে লড়তে হয়েছে তরুণদের সঙ্গে। যেখানে উইম্বলডনে হেরে যাওয়া কার্লোস আলকারাজের বয়স মাত্র ২০, আর ডেভিস কাপ হাতছাড়া হয়েছে ২২ বছর বয়সী ইয়ান্নিক সিনারের কাছ।

২৪তম গ্র্যান্ড স্লাম হাতে জোকোভিচ

নাদাল যদি পুরোপুরি ফিট হয়ে সেরা ছন্দে না ফেরেন, তবে আগামী বছরও এই তরুণদের সঙ্গেই লড়তে হবে জোকোভিচকে। তরুণেরা কীভাবে উজ্জীবিত করেন, সে সম্পর্কে জোকোভিচ বলেছেন, ‘যেসব তরুণ আমার বিপক্ষে নিজেদের সেরা টেনিস খেলার জন্য ক্ষুধার্ত এবং অনুপ্রাণিত থাকেন, তাঁরা আমাকেও বাড়তি উৎসাহ জোগান। আমার মনে হয় তাঁরা আমাদের ভেতরের জন্তুকে জাগিয়ে তুলেছেন।’

Also Read: আলকারাজের মতো কারও বিপক্ষে কখনো খেলেননি জোকোভিচ

টেনিস ফেদেরার–নাদাল–জোকোভিচের পর পরবর্তী তারকা ভাবা হচ্ছে আলকারাজকে। চলতি বছর অবশ্য চারবার জোকোভিচের মুখোমুখি হয়ে তিনবারই হেরেছেন আলকারাজ। এর মধ্যে ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালও আছে। সে ম্যাচে ক্র্যাম্প (পেশিতে টান) হয়েছিল আলকারাজের। এখন পর্যন্ত আলকারাজের সঙ্গে লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও জোকোভিচ কিন্তু তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে যথেষ্ট সমীহ করেন। আলকারেজকে নিয়ে জোকোভিচ বলেছেন, ‘আমি বছরের পর বছর যেমনটা দেখেছি, সে তেমনই পূর্ণাঙ্গ একজন খেলোয়াড়।’

জোকোভিচ জানিয়েছেন, কীভাবে উইম্বলডন ফাইনালে হার তাঁকে ইউএস ওপেনের জন্য উজ্জীবিত করেছে, ‘নিজেকে নতুন করে আবিষ্কারের জন্য এটা আমার দারুণ সুযোগ। আর আমি আগের চেয়ে নিজেকে আরও বেশি উজাড় করে দিই।’