Thank you for trying Sticky AMP!!

আইএসকে মদদ দেওয়ায় টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা

টুইটার

বিশ্বজুড়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সমর্থন ও আইএস সদস্য সংগ্রহে মদদ দেওয়ার অভিযোগে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাভিত্তিক তামারা ফিল্ডস নামের এক নারী।
উইয়ার্ড ডটকমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, তামারা ফিল্ডসের স্বামী গত বছরের নভেম্বরে জর্ডানের আম্মানে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। টুইটারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন তিনি।
অভিযোগপত্রে তামারা লিখেছেন, ‘টুইটার ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ংকর সন্ত্রাসী গ্রুপটি গত কয়েক বছরে এভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারত না। টুইটার জেনেশুনেই আইএস ও এর অপপ্রচারগুলো প্রকাশ করেছে এবং আইএসের সদস্য সংগ্রহে সাহায্য করেছে।’
এদিকে টুইটার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
টুইটারের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা মনে করি, এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওই পরিবারের মারাত্মক ক্ষতির কথা শুনে আমরা ব্যথিত হয়েছি। পৃথিবীর আর সব মানুষের মতোই জঙ্গিগোষ্ঠীর নৃশংসতার ও ইন্টারনেটে তাদের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে আমরা ভীত। অন্য সামাজিক যোগাযোগের সাইটের মতো সহিংস হুমকি ও সন্ত্রাসবাদের প্রচারের কোনো স্থান টুইটারে নেই। আমাদের নীতিমালায় সে বিষয়টি স্পষ্ট করা আছে।’
ফিল্ডস আদালতে টুইটারের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা করবেন। যদি মামলায় তিনি জিতে যান, তবে সরকারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দায়িত্বও টুইটারকে নিতে হবে। গত মাসে তুরস্কের সরকার সন্ত্রাসী অপপ্রচারের অভিযোগে টুইটারকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা করেছিল।
অনলাইনে সন্ত্রাসী বার্তা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে টুইটার সম্প্রতি তাদের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছে।
টুইটারের ট্রাস্ট অ্যান্ড সেফটি বিভাগের পরিচালক মেগান ক্রিস্টি এক ব্লগ পোস্টে বলেন, ‘আমরা মনে করি, অপব্যবহার ও পীড়নের বিষয়ে সুরক্ষার বিষয়টি টুইটারের মানুষের মুক্তচিন্তা প্রকাশ করে ক্ষমতায়নের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এমন কোনো আচরণ টুইটার সহ্য করবে না।’