উদ্যোক্তা তৈরিতে জাকারবার্গের সঙ্গে ওবামা
আপনি যদি মানুষের জন্য ভালো কিছু করেন, আপনার সঙ্গেও ভালো কিছু ঘটবে। এমনটাই বিশ্বাস করেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। এই ভালো কিছু করার প্রত্যয় নিয়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য কাজ করছেন তিনি। ৮ থেকে ১০ জুলাই গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ সামিটের (জিইএস) সপ্তম আয়োজন সামনে রেখে গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উদ্যোক্তাদের জন্য এমন কিছু উৎসাহব্যাঞ্জক কথা বলেন জাকারবার্গ। সঙ্গে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ আরও অনেকে। তাঁরা সেখানে উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
একজন মুক্তবিশ্বের নেতা এবং আরেকজন গোটা বিশ্বকে একসুতোয় গাঁথার চেষ্টা করছেন। সেদিন স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁরা দুজনেই গলা মেলান। এরপর তিনজন উদ্যোক্তাকে পরিচয় করিয়ে দেন। প্রেসিডেন্ট ওবামা সেখানে জাকারবার্গের চিরায়ত ক্যাজুয়াল পোশাকের দিকে ইঙ্গিত করে মজার স্বরে বলেন, ‘মার্কের মতো টি-শার্ট গায়ে জড়াতে পারি না আমি।’ জাকারবার্গও মজা করে বলেন, ‘তার বেশি দেরি নেই!’ দর্শকসারিতে তখন মৃদু হাসির গুঞ্জন।
তিন দিনের এই সম্মেলনে শামিল হয়েছিলেন হাজার খানেক বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী। এই সপ্তাহের শুরুতে কিছু বড় মাপের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে তাদের পণ্যে বৈচিত্র্য আনার জন্য তাগিদ দেয় প্রশাসন। এমনকি নতুন প্রতিষ্ঠান শুরু করা এবং উদ্যোক্তা তৈরির জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে বৈচিত্র্য আনয়নের চেষ্টার প্রশংসা করে ওবামা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলো যে তাদের প্রতিশ্রুতি রেখেছে, এ জন্য আমরা খুবই খুশি। তাই আসুন, তাদের প্রশংসা করি।’
অন্যদিকে, জাকারবার্গ সেখানে তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে ফেসবুকের শুরুর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে উদ্যোক্তা তৈরির অর্থ হলো পরিবর্তন আনা, নতুন প্রতিষ্ঠান চালু করা নয়।’
সম্মেলনের শুরুতে এইচবিও চ্যানেলের সিলিকন ভ্যালি অনুষ্ঠানের কলাকুশলীরা দর্শকদের বিনোদন দেন। ওবামা বলেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ব্রিটিশদের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁর আলাপ হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়াটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হবে।
ওবামা ও জাকারবার্গের প্রথম যোগাযোগটা হয় ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময়। তখন ভোটার ও দাতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্য নেন ওবামা।
দেব দুলাল গুহ, সূত্র: সিনেট
আরও পড়ুন
-
নমনীয় মুদ্রা বিনিময় হার চায় আইএমএফ, সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শ্রীনিবাসন
-
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-বাড়িতে মারধর, চুল টানা, কান মলাসহ শিশুদের শাস্তি বন্ধ নেই
-
‘ভ্যাম্পায়ার ফেশিয়াল’ করে যেভাবে এইচআইভি সংক্রমিত হলেন তিন নারী
-
নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারে আইসিসির সম্ভাব্য পরোয়ানায় কেন উদ্বিগ্ন ইসরায়েল
-
দেশজুড়ে বৃষ্টি কবে হতে পারে, জানাল আবহাওয়া অফিস