Thank you for trying Sticky AMP!!

কিশোর মনে ফেসবুকের প্রভাব 'কম'

মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বেশির ভাগ গবেষণাই বলেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার মানুষকেদিন দিন বিষণ্ন করে তুলছে। তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, কিশোরদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নেতিবাচক প্রভাব খুব কমই।

যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস (পিএনএএস)–এ গত সোমবার গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশ করেছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট ইনস্টিটিউটের দুজন অধ্যাপক এই গবেষণা নিবন্ধের লেখক। তাঁদের একজন অ্যান্ড্রু শিবেলস্কি ও আরেকজন এমি অরবেন। যুক্তরাজ্যে ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আট বছর ধরে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী ১২ হাজার কিশোর–কিশোরীর ওপর গবেষণাটি পরিচালনা করেন তাঁরা।

গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শিবেলস্কি বলেন, ব্যক্তির ৯৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানসিক প্রশান্তির ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোনো প্রভাব নেই।

এত দিন অনেকেই বলেছেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলোয় অতিরিক্ত সময় কাটিয়ে কিশোর–কিশোরীদের জীবন উচ্ছন্নে যাচ্ছে, তাদের মনের ওপর পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। বিভিন্ন দেশের সরকারের কর্তাব্যক্তি, শিক্ষক ও অভিভাবক সমাজ এ নিয়ে উদ্বিগ্নও। তবে নতুন গবেষণাটি এই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।

শিবেলস্কি ও অরবেনের গবেষণা বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে সমাজের উদ্বিগ্ন হওয়াটা অযথাই। তবে কিশোর–কিশোরীদের অনলাইন আচরণ, তারা ইন্টারনেটে কী দেখছে—এসব বিষয় ক্ষতির দিক বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ।