Thank you for trying Sticky AMP!!

কৃষি ও প্রযুক্তিতে পথপ্রদর্শক হবে বাংলাদেশ

রবি আয়োজিত কর্মশালায় কৃষি ও মোবাইল প্রযুক্তি বিষয়ে যাঁরা আলোচনা করেন

কৃষি খাত উন্নয়নে মোবাইল প্রযুক্তি কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে, বিশ্বে তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে মোবাইল অপারেটর রবির করপোরেট কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় এ মতামত তুলে ধরা হয়।
কৃষকের ক্ষমতায়নে মোবাইল প্রযুক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, এ নিয়ে কর্মশালায় আলোচনা করা হয়।

কর্মশালায় দেশি ও বিদেশী তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কৃষিক্ষেত্রে মোবাইল প্রযুক্তির সম্ভাবনার বিষয় তুলে ধরেন। কৃষক ও কৃষি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কীভাবে সংযোগ তৈরি করা যায় এবং তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন করে কীভাবে কৃষকরা উপকার পেতে পারেন, তা নিয়ে আলোচনা করেন গবেষকেরা।

এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফ্রান্সের ইনসিড বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সের অধ্যাপক ফিলিপ এম পার্কার। তিনি বলেন, ‘কৃষকেরা যখন সহজলভ্য ও ব্যবহারবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজে ও কম খরচে তথ্য সুবিধা পাবে, দীর্ঘ মেয়াদে এক্ষেত্রে দেশের জন্য সুফল আসবে।’

ফিলিপ এম পার্কার বলেন, ‘স্থানীয় পর্যায়ের সহজ ও নির্ভরযোগ্য তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। তাদের জন্য ব্যবহারবান্ধব অ্যাপস, গেমস প্রভৃতিও তৈরি করা যেতে পারে। হাতের নাগালে থাকা মুঠোফোন ব্যবহার করে যাতে তারা কৃষিসংশ্লিষ্ট দৈনন্দিন তথ্য পেতে পারে, এর ব্যবস্থা করার কথা ভাবতে হবে।’

তথ্যের সহজপ্রাপ্তি কৃষকদের জীবন মান ও ব্যবস্থাপনায় কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন আইএফপিআরআই-এর গবেষক রিকার্ডো হার্নান্দেজ, জিএসএমএ’র বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান, সুইসকন্ট্যাক্টের পরামর্শক আশফাক এনায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লু গোল্ড প্রোগ্রামের কর্মকর্তা হেইন বিজলমেকারস, ওয়ার্ল্ড ফিশের প্রধান হেনড্রিকস জন কিউস, মাইয়াকির প্রধান নির্বাহী তারো আরায়া ও রবির ব্যবসা বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা প্রদীপ শ্রীবাস্তব।
অনুষ্ঠানে রবির চিফ মার্কেট অফিসার প্রদীপ শ্রীবাস্তব বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহার।

কিন্তু বাংলাদেশে এখনও সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হচ্ছে চীনে তৈরি স্বল্প সুবিধার সাশ্রয়ী দামের মোবাইল ফোন সেটগুলোতে। এ দেশের মানুষ মুঠোফোন দিয়ে এখন বেশিরভাগ কল করেন। বাজার গবেষণায় দেখা যায়, মোবাইল বাজারে বাংলাদেশ এখনও শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যেই থ্রিজি চালু হওয়ায় বাংলাদেশের টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

প্রদীপ শ্রীবাস্তব আরও বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে খুব কম খরচে যাতে ডাটা সুবিধা দেওয়া যায়, তা নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। টেলিকম খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে এখন মুখিয়ে রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সেবা তৈরির সুযোগ রয়েছে তাদের সামনে। মোবাইল ভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা সেবা, কৃষি সেবাসহ মানুষের জীবনঘনিষ্ঠ সেবাগুলোর বাজার উন্মুক্ত হচ্ছে।
গবেষকেরা আশা করেন, উন্নত বিশ্বের কোনো দেশে নয় মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উন্নয়নে বিশ্বে উদাহরণ তৈরি করবে বাংলাদেশ। এ দেশ হবে বিশ্বের মধ্যে উদ্ভাবনের কেন্দ্রস্থল ও পথপ্রদর্শক।