Thank you for trying Sticky AMP!!

চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তি নিষেধের পক্ষে সুন্দর পিচাই, বিপক্ষে ব্র্যাড স্মিথ

সুন্দর পিচাই। ছবি: রয়টার্স

উন্মুক্ত স্থানে চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাময়িক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানেরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানানো শুরু করেছেন। গুগল ও এর মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই কিছুটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করলেও মাইক্রোসফটের প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বেশ সমালোচনাই করেছেন।

সুন্দর পিচাই সাময়িক নিষেধাজ্ঞার পেছনে প্রযুক্তিটির অসাধু ব্যবহারের উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ব্র্যাড স্মিথ পুরো বিষয়কে উপমা দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। বলেছেন, সম্ভাব্য সমস্যা সমাধানে অস্ত্রোপচারের ছুরি ব্যবহার না করে মাংস কাটার ছুরি ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে এক সম্মেলনে পিচাই জানিয়েছেন, সরকার ও নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর মোকাবিলা করা এবং এ বিষয়ে ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের ছক নির্ধারণ করে দেওয়া।

প্রেসিডেন্টের পাশাপাশি মাইক্রোসফটের প্রধান আইনি কর্মকর্তাও ব্র্যাড স্মিথ। চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তির ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, হারিয়ে যাওয়া শিশুদের শনাক্তকরণেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে অনেক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। স্মিথ আরও বলেন, ‘যে প্রযুক্তি জনসাধারণকে এক হতে সাহায্য করে, তা ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে আমি বলতে পারব না।’ স্মিথের পরামর্শ হলো, প্রযুক্তিটির ওপর তখনই নিষেধাজ্ঞা জারি করা যথাযথ হবে, যখন এর বিকল্প কোনো প্রযুক্তির সন্ধান পাওয়া যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসা এক নথি থেকে জানা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে ইউরোপীয় কমিশন শক্ত অবস্থায় আছে। সূত্র: রয়টার্স