Thank you for trying Sticky AMP!!

ধূমকেতুর বুকে রোসেটার সমাধি

ধুমকেতু ৬৭পির পৃষ্ঠে আছড়ে পড়ার মাত্র এক দশমিক দুই কিলোমিটার ওপর থেকে এ ছবিটি তোলে রোসেটা। ছবি: ইসা

ধূমকেতুর অনেক অজানা রহস্যের তথ্য জানিয়ে গেল রোসেটা নামের এক মহাকাশ যান। আজ ধূমকেতুর বুকে রোসেটাকে ‘ক্র্যাশ’ করালেন ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইসা) গবেষকেরা।

৬৭পি নামের ধূমকেতুর বিষয়ে তথ্য জানতে ২০০৪ সালের ২ মার্চ রোসেটা মহাকাশে পাঠানো হয়। বরফে আচ্ছাদিত ওই ধূমকেতুর পৃষ্ঠে আঘাত হেনে ভেঙে পড়ার মাধ্যমে ইতি ঘটে গেল এক যুগ ধরে গবেষকদের উৎসাহের কেন্দ্রে থাকা রোসেটা মিশনের।

জার্মানির ডার্মস্ট্যাটে মিশনটির নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে রোসেটার ইতি ঘটার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গবেষকেরা দাবি করেছেন, যখন রোসেটার সঙ্গে রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন বিষয়টি তাঁরা নিশ্চিত হয়েছেন। পরিকল্পনামাফিক এ সংঘর্ষ ঘটানোর আগে রোসেটা থেকে ওই ধূমকেতুর উচ্চ রেজল্যুশনের ছবি ও অন্যান্য পরিমাপ সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা।

ইসার মিশন ব্যবস্থাপক প্যাট্রিক মার্টিন বলেন, ‘ধূমকেতু ৬৭পিতে রোসেটার ঐতিহাসিক অবতরণকে পূর্ণ সফলতা বলে ঘোষণা করছি। বিদায় রোসেটা। তুমি তোমার কাজ করেছ। এটা ছিল মহাকাশবিজ্ঞানের দারুণ অধ্যায়।’

রোসেটা

গবেষকেরা আশা করছেন, গত দুই বছরে ধূমকেতু সম্পর্কে যে তথ্য মিলেছে, তা গবেষকদের পরবর্তী এক যুগ ব্যস্ত রাখবে।

চার কিলোমিটার প্রশস্ত হাঁস আকৃতির ওই ধূমকেতুর বুকে আছড়ে পড়ার আগে আজ শুক্রবার সকালে গবেষকেরা রোসেটার শেষ মুহূর্তগুলো শেষবারের মতো পর্যবেক্ষণ করেন। ধূমকেতুটি ক্রমশ সূর্য থেকে দূরে সরে যাওয়ায় সৌরশক্তি ব্যবহার করে চলা রোসেটার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ছিল। গবেষকেরা চাইলে রোসেটাকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা এটিকে ধূমকেতুর বুকে আছড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন।

গবেষক ম্যাট টেলর বলেন, রোসেটাকে যদি আবার সৌরমণ্ডলে আসা পর্যন্ত নিষ্ক্রিয় রাখা হতো, তবে সেটি আর কাজ করত কি না, তার নিশ্চয়তা ছিল না।

২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর ১০ বছর পর ২০১৪ সালের আগস্টে রোসেটা ওই ধূমকেতুর তথ্য পাঠাতে শুরু করে। ২০১৪ সালের নভেম্বরে রোসেটা থেকে ‘ফিলে’ নামের ছোট একটি রোবট ওই ধূমকেতুর বুকে অবতরণ করানো হয়।

আরও পড়ুন: