Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেসবুকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ

ফেসবুক

ফেসবুকের তৈরি নিরাপত্তা অ্যাপ প্রতিদ্বন্দ্বীদের নজরদারিতে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুকের তৈরি ওনাভো নামের ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) অ্যাপ এ কাজে ব্যবহার করা হয়। এ অ্যাপ থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যের কমন্স কমিটি ১০০ পাতার প্রতিবেদন দাখিল করেছে, যাতে ব্যবহারকারীর ওপর গোয়েন্দাগিরির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অভিযোগ উঠেছে, ফেসবুক ইচ্ছাকৃতভাবে জেনেবুঝে ডেটা প্রাইভেসি ও অ্যান্টিকমপিটিশন আইন ভেঙেছে।

ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্টস কমিটির অভিযোগ, অতিরিক্ত স্তরের নিরাপত্তার নামে ওনাভো নামে যে অ্যাপ ফেসবুক উন্মুক্ত করেছিল, তাতে অ্যাপ ব্যবহারসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফেসবুক সংগ্রহ করে। কে কতটুকু অ্যাপ ব্যবহার করছে, কতবার ডাউনলোড করছে—এমন অনেক তথ্যই ফেসবুক সংগ্রহ করে। এতে কোন অ্যাপের পারফরম্যান্স ভালো, তা যাচাই করে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে আগেভাগেই অনেক বিষয় টের পেয়ে যায় ফেসবুক। এরপর তারা হয় ওই প্রতিদ্বন্দ্বীকে কিনে নেয় বা হুমকি দিয়ে বন্ধ করার ব্যবস্থা করে।

ওই কমিটি ওনাভোর মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের একটি গ্রাফ যুক্ত করেছে, তাতে অ্যাপের ব্যবহারসংক্রান্ত তথ্য দেখা যায়।

২০১৩ সালে ২৩২ কোটি মার্কিন ডলারে প্রতিদ্বন্দ্বী স্ন্যাপচ্যাটকে কিনতে চেয়েছিল ফেসবুক। এর আগে ১০০ কোটি ডরারে ইনস্টাগ্রামকে কিনে নেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ২০১৪ সালে ১ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নেয় ফেসবুক। যারা ফেসবুকের কাছে বিক্রি হতে চায় না, তখন তাদের সেবাগুলোকে ফেসবুক ঠেকিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এর আগে টুইটারের ভাইন সেবার ক্ষেত্রে এ রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল ফেসবুক। তাদের এপিআই ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি। ২০১৬ সালে ভাইন বন্ধ হয়ে যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ফেসবুকের সুনজরে থাকা পাঁচ হাজার অ্যাপ ফেসবুকের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা হিসেবে ব্যবহারকারীর তথ্য পায়। এর মধ্যে রাইড শেয়ারিং কোম্পানি লিফট, এয়ারবিএনবি ও নেটফ্লিক্সের মতো প্রতিষ্ঠান আছে।

গত বছরে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারির জন্য ফেসবুককে পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে যুক্তরাজ্যের তথ্য সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ। ইনফরমেশন কমিশনারের অফিসের ভাষ্য, ফেসবুক ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ডেভেলপারদের কাছে তথ্য সরবরাহ করেছিল।

সম্ভাব্য ভোটারদের টানতে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি একটি কুইজ অ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছিল।