Thank you for trying Sticky AMP!!

ফেসবুক: ভুয়া ভুয়া ভুয়া

ফেসবুক

সক্রিয়ভাবে মাসিক ফেসবুক ব্যবহারকারীর হিসাবে গত তিন বছরে নকল অ্যাকাউন্ট তিন গুণ বেড়ে আড়াই কোটি ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি ফেসবুক তাদের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বিষয়টি উঠে এসেছে।

২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিক, অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকের পূর্বাভাস অনুযায়ী ফেসবুকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর মধ্যে ১১ শতাংশ ডুপ্লিকেট বা নকল অ্যাকাউন্ট, যা ২০১৫ সালে ছিল ৫ শতাংশ। আইএএনএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ফেসবুকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সাইটের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী ছিল ১৫৯ কোটি, যা ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২৩২ কোটি। উন্নত দেশের তুলনায় উন্নয়নশীল দেশ, বিশেষ করে ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের মতো দেশে নকল অ্যাকাউন্ট বেশি।

ফেসবুক বলেছে, তাদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৈশ্বিক পর্যায়ে মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর ধরলে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত নকল বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট হতে পারে। ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির অনিয়মিত ওঠানামার কারণে এই সংখ্যা হেরফের হতে পারে। নকল অ্যাকাউন্টের সংখ্যা সীমিত নমুনা থেকে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় হিসাব করা হয়।

ফেসবুক বলছে, দুটি বিভাগে তারা নকল অ্যাকাউন্ট হিসাব করে। তাদের কাছে নকল অ্যাকাউন্ট হচ্ছে ব্যবহারকারী তার মূল অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি অন্য অ্যাকাউন্ট চালু রাখলে সেটি নকল অ্যাকাউন্ট। একধরনের ভুয়া অ্যাকাউন্ট হচ্ছে ব্যক্তি তার ব্যবসা, প্রতিষ্ঠান বা পোষা প্রাণীর জন্য তৈরি করে। একে ইউজার মিস ক্লাসিফায়েড অ্যাকাউন্ট বলে। আরেক ধরনের নকল অ্যাকাউন্ট হচ্ছে আনডিজাইরেবল অ্যাকাউন্ট বা অবাঞ্ছিত অ্যাকাউন্ট। এখানে ব্যবহারকারীর প্রোফাইলের মতো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়। যার উদ্দেশ্য থাকে স্প্যামিং করা, যা ফেসবুকের নীতিমালা ভঙ্গ করে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০১৭ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ২০১৮ সালের শেষ প্রান্তিকে এসে দৈনিক ফেসবুক ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৪০ কোটি, যা গত বছরে ১৫২ কোটি ছাড়িয়েছে। দৈনিক ব্যবহারকারী বৃদ্ধিতে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ভূমিকা রেখেছে।