Thank you for trying Sticky AMP!!

বাংলাদেশ আইসিটি প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিচ্ছেন ১২৭ শিক্ষার্থী

বাংলাদেশ আইসিটি কমপিটিশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে চলতি সপ্তাহে। হুয়াওয়ে ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত ১৫ দিনের এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে শীর্ষ ১২৭ জন শিক্ষার্থী।

এ সপ্তাহে দ্বিতীয় পর্বে যাচ্ছে হুয়াওয়ে ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল আয়োজিত ‘বাংলাদেশ আইসিটি কমপিটিশন’। এ পর্বে আগামী ১৫ দিনে শীর্ষ ১২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।

এ বছর জানুয়ারিতে প্রতিযোগিতাটির প্রথম পর্ব শুরু হয়। দেশের প্রায় ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের হাজারখানেক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন তাতে। গত ছয় মাসে ওই শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ওয়েব পোর্টালে নানা অনলাইন প্রশিক্ষণে অংশ নেন।

প্রথম পর্বে প্রশিক্ষণে ধারাবাহিকতা ও পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ১২৭ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ পর্বে শিক্ষার্থীরা হুয়াওয়ে সার্টিফায়েড আইসিটি অ্যাসোসিয়েট (এইচসিআইএ) থেকে ১৫ দিনের অনলাইন কোর্সে অংশ নেবেন এবং পরবর্তী সময়ে প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে উন্নীত হতে তাঁদের আরেকটি পরীক্ষা দিতে হবে।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, ‘বাংলাদেশ আইসিটি কমপিটিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো, এ দেশের আইসিটি খাতের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তি দৃঢ় করা। হুয়াওয়ে বাংলাদেশে বাংলাদেশের জন্যই কাজ করছে। বাংলাদেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, এমন কিছু করতে পেরে আমরা গর্বিত।’

এ প্রতিযোগিতার তৃতীয় ও ফাইনাল পর্ব জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় পর্ব থেকে নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীরা দল গঠন করবেন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত দলে থাকবেন তিনজন শিক্ষার্থী ও একজন শিক্ষক। হুয়াওয়ে হেডকোয়ার্টার থেকে প্রশিক্ষকেরা প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন এবং পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের একটি সিমুলেশন টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে। এরপর তিনটি দলকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

বিজয়ীদের পুরস্কার হিসেবে হুয়াওয়ে ল্যাপটপ অথবা হুয়াওয়ে মোবাইল ও হুয়াওয়ে স্মার্টওয়াচ কিংবা স্মার্ট ব্যান্ড প্রদান করার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন দল হুয়াওয়ে আইসিটি কমপিটিশনের আঞ্চলিক ফাইনাল ও বৈশ্বিক ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাঁরা চীনের শেনঝেনে হুয়াওয়ের হেডকোয়ার্টার পরিদর্শনে যাবেন। ভবিষ্যতে তাঁদের হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সঙ্গে কাজ করার সুযোগও থাকতে পারে।

প্রতিযোগিতাটি দুটি ভাগে হচ্ছে। ব্যবহারিক প্রতিযোগিতা এবং তাত্ত্বিক প্রতিযোগিতা। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারী লোকজনের উদ্ভাবনী প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং প্রোগ্রাম ডিজাইন করার সক্ষমতা মূল্যায়নে তাত্ত্বিক বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ বছর প্রতিযোগিতাটিতে নেটওয়ার্ক সুইচিং ও রাউটিং টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং পরবর্তী সময়ে বিগ ডেটা, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ও ক্লাউড বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

বাংলাদেশ আইসিটি ক্ষেত্রে মেধাবী শিক্ষার্থীর পাশাপাশি উদ্ভাবন উৎসাহিত করতে হুয়াওয়ে চারটি কর্মসূচি আয়োজন করবে, যার মধ্যে প্রথম কর্মসূচি হচ্ছে বাংলাদেশ আইসিটি কমপিটিশন ২০২১। বাকি তিনটি কর্মসূচি হচ্ছে আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার, হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি এবং কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্টআপ।

আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ইতিমধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তি করেছে হুয়াওয়ে। বিজ্ঞপ্তি