Thank you for trying Sticky AMP!!

বাজারে আসছে শাওমির বৈদ্যুতিক গাড়ি

স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে পরিচিত হলেও শাওমি এবার বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে নামছে

গত মার্চেই গাড়ি তৈরির ইচ্ছার কথা জানায় চীনা প্রতিষ্ঠান শাওমি। এবার আর কেবল ইচ্ছার প্রকাশ নয়, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য ব্যবসায়িক নিবন্ধন সম্পন্ন করল। চীনা প্রতিষ্ঠানটি আজ তা নিশ্চিতও করেছে। সব ঠিক থাকলে অদূর ভবিষ্যতে রাস্তায় শাওমির তৈরি গাড়ি দেখা যাবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির জন্য শাওমির নতুন ব্যবসায়িক শাখাটির নাম ‘শাওমি ইভি ইনকরপোরেটেড’। নিবন্ধনের সময় চীনা মুদ্রায় এক হাজার কোটি ইউয়ান অনুমোদিত মূলধন এবং শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লেই জুনকে আইনানুগ প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ১৮৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার বেশি।

প্রায় ৩০০ কর্মীকে এরই মধ্যে গাড়ি তৈরির ব্যবসায়ে যুক্ত করেছে শাওমি। নতুন নিয়োগও জারি রেখেছে।

শাওমির গাড়ি তৈরির উদ্যোগ প্রথম সামনে আসে গত মার্চে। এই খাতে আগামী ১০ বছরে এক হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা জানায়। লেই জুন সে সময় গাড়ি তৈরির ব্যবসাকে ‘উদ্যোক্তা হিসেবে জীবনের শেষ প্রকল্প’ বলেছিলেন।

সেই থেকে দুই হাজারের বেশি জরিপ চালিয়েছে, একই খাতের ১০টির বেশি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে বলে জানিয়েছে শাওমি। তবে ঠিক কী ধরনের গাড়ি তৈরি করবে, তা বিস্তারিত বলেনি।

গত সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, গবেষণা ও উন্নয়ন এগিয়ে নিতে ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলারের বেশি ব্যয়ে স্বয়ংক্রিয় গাড়িচালনা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপ ‘ডিপমোশন’ কিনে নিয়েছে তারা।

এদিকে আগস্টের প্রথমার্ধে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, রিয়েল এস্টেট জায়ান্ট এভারগ্রান্দে গ্রুপের গাড়ি তৈরির ব্যবসায়ের অংশবিশেষ কিনে নেওয়ার জন্য আলোচনা চালাচ্ছে শাওমি। সে খবরের পর শাওমির এক মুখপাত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, একাধিক গাড়ি তৈরির প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে শাওমি, তবে কোনো চুক্তিই চূড়ান্ত হয়নি এখনো।

শাওমি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক বিবরণী পেশ করে গত সপ্তাহে। এপ্রিল থেকে জুন মেয়াদে বাজার বিশ্লেষকদের অনুমানের চেয়ে বেশি আয় করেছে প্রতিষ্ঠানটি। মোট আয় ও নিট লাভ বেড়েছে যথাক্রমে ৬৪ ও ৮৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন তৈরির ব্যবসায়ে ধস নামলে এগিয়ে যায় শাওমি। স্মার্টফোন বিক্রিতে গত প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রতিষ্ঠানটি।