Thank you for trying Sticky AMP!!

ভারতের বিক্রমের কী হয়েছিল জানাল নাসা

ভারতের নভোযান চাঁদের এমন শক্ত পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। ছবি: নাসার টুইট থেকে

চাঁদে পাঠানো ভারতের চন্দ্রযান–২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণ খুব সহজ ছিল না। চাঁদের শক্ত পৃষ্ঠে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ করেছিল বিক্রম। ছবি দিয়ে টুইট করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চন্দ্রযান–২-এর ল্যান্ডারটি চাঁদের নরম জমিতে অবতরণের ঐতিহাসিক প্রয়াসের সময় গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। এতে চন্দ্রপৃষ্ঠে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’ বা কঠিন অবতরণ হয় তার।

নাসা আজ শুক্রবার জানিয়েছে, বিক্রমের হার্ড ল্যান্ডিংয়ের বিষয়টি অনুমান করা গেলেও সেটি কোথায় নামতে পেরেছিল, তা এখনো ঠিক করতে পারেনি মার্কিন মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানীদের একটি দল। বিক্রম মূলত সিম্পেলিয়াস এন এবং মঞ্জিনাস সি ক্র্যাটারের মধ্যে চন্দ্রপৃষ্ঠের উঁচু জমিতে সমভূমির মতো জায়গায় ৭ সেপ্টেম্বর অবতরণের চেষ্টা করেছিল।

বিক্রম ল্যান্ডারের লক্ষ্যস্থল ওই অবতরণের জায়গার ছবিও প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। ছবিতে চন্দ্রপৃষ্ঠের ক্র্যাটার বা গর্তগুলোকে দেখা যাচ্ছে।

ভারতের নভোযান চাঁদের এমন শক্ত পৃষ্ঠে অবতরণ করেছে। ছবি: নাসার টুইট থেকে



ওই ছবিগুলো নাসার লুনার রিকনোসান্স অরবিটার (এলআরও) ১৭ সেপ্টেম্বর মহাকাশযানটির ফ্লাইবাইয়ের সময় তুলে ছিল।

মার্কিন মহাকাশ সংস্থা একটি টুইট বার্তায় জানিয়েছে, আলো যখন অনুকূল হবে তখন অক্টোবরে মুন অরবিটার আবার ল্যান্ডারটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা করবে।

বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের শেষ সময়সীমা ছিল গত শনিবার। চাঁদের যে দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে বিক্রম অবতরণের চেষ্টা করছিল সেখানে ওই দিন থেকেই চন্দ্র রাত্রি শুরু হয়।

বৃহস্পতিবার ইসরো প্রধান কে সিভান বলেছেন, ‘একটি জাতীয় পর্যায়ের কমিটি ল্যান্ডারের সঙ্গে আসলে কী ভুল হয়েছে তা বিশ্লেষণ করছে। আমরা ল্যান্ডারের কাছ থেকে কোনো সংকেত পাইনি।’

এক হাজার কোটি রুপি খরচ করে চন্দ্রযান-২ মিশন সফল করে ইতিহাসের পাতায় নাম তোলার আশা ছিল ভারতের। ধীরে ধীরে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীনের পরই চতুর্থ দেশ হতো ভারত। পাশাপাশি প্রথমবারের চেষ্টায় চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রথম দেশ হতো ভারত।