Thank you for trying Sticky AMP!!

মোবাইল-কম্পিউটারের অশুভ শক্তি তাড়াতে 'তান্ত্রিক'!

তান্ত্রিক রেভারেন্ড জোয়ি ট্যালি

সিলিকন ভ্যালিতে ইদানিং এক তান্ত্রিক বা সম্মোহনী শক্তির অধিকারী নারী নাকি কম্পিউটার বা মোবাইলের অশুভ শক্তি তাড়ানোর কাজ করছেন। তাঁর নাকি অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা আছে এবং সে ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নানা সমস্যার সমাধানও দিচ্ছেন রেভারেন্ড জোয়ি ট্যালি নামের এই নারী।
এই বিজ্ঞান-প্রযুক্তির যুগে কারিগরি সমস্যার সমাধান কি তাঁরা দিতে পারেন? কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে— যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে ফেসবুক, অ্যাপল ও সেলসফোর্সের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা হরদমই তাঁদের কম্পিউটার কিংবা মোবাইল সুরক্ষায় সম্মোহনী শক্তির সাহায্য নিচ্ছেন। সম্প্রতি রহস্যময় এই বিষয়টি নিয়ে প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
অনেকের কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে অশুভ শক্তি এসে ভর করে। বিশেষ করে, যখন রহস্যময় কোনো বাগ বা সফটওয়্যার ত্রুটির কারণে অ্যাপ্লিকেশন ক্রাশ করে বা কোনো কারণ ছাড়াই ফোন বন্ধ হয়ে যায় তখন এ রকম মনে হতে পারে। যদি কখনো আপনার মনে হয় কোনো অশুভ শক্তি কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে ভর করেছে সেক্ষেত্রে আপনি রেভারেন্ড জোয়ি ট্যালির সাহায্য নিতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার এই জাদুকর নারী দাবি করেছেন, প্রযুক্তিবিদদের কারিগরি সমস্যায় যদি কোনো অতিপ্রাকৃতিক শক্তি ভর করে সে সমস্যার সমাধান তিনি করতে পারেন।

সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক অনলাইন সাইট এসএফ উইকলি জানিয়েছে, সানফ্রান্সিসকো এলাকায় বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রচলিত সমস্যার সমাধানের জন্যও সম্মোহনী শক্তি কাজে লাগান। কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের সমস্যার ক্ষেত্রেও তাঁর অশুভ শক্তি তাড়াতে জাদুকরের শরণাপন্ন হন। এ রকমই এক জাদুকর ট্যালি। প্রায় চার দশকের অভিজ্ঞতা তাঁর। জটিল কারিগরি সমস্যা ছাড়াও ট্যালির অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা দিয়ে প্রযুক্তিগত নানা সমস্যা দূর করতে বড় বড় প্রতিষ্ঠান থেকে ডাক পান তিনি।
এসএফ উইকলিকে ট্যালি বলেন, ‘অধিকাংশ গ্রাহকই আমার কাছ থেকে কম্পিউটার ভাইরাস ও হ্যাক থেকে মুক্তির কথা বলেন। আমি তাদের জন্য জাদুমন্ত্র প্রয়োগ করি। প্রতিষ্ঠানে থাকা অশুভ আত্মা দূর করে দিই।’
ট্যালির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, যেকোনো অস্বাভাবিক বা বিপজ্জনক সমস্যার সমাধান দিতে প্রস্তুত তিনি। প্রিন্টার অচল হয়ে পড়া থেকে শুরু করে সমস্যা যত বড়ই হোক না কেন তাতে কোনো সমস্যা নেই তাঁর।
তবে, ট্যালি তাঁর কাজের জন্য খরচাটা নেন বলার মতো। ঘণ্টাপ্রতি ২০০ ডলার।
যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক না কেন, ফেসবুক কিংবা অ্যাপলের মতো বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে হয়তো কখনো অশুভ শক্তি ভর করে। নইলে এত কেনইবা তান্ত্রিকের কদর?