Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোর থেকে শুরু ই-কমার্স মেলা

যশোরে ই–ক্যাব মেলার উদ্বোধন করা হয়। ছবি: ই–ক্যাবের সৌজন্যে

গত বছরের মতো এবারও দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে ই–কমার্স মেলার আয়োজন করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে এবারের মেলা বিশেষভাবে আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক থেকে ‘ই-কমার্সের ডাক’ মেলার শুরু হলো। মেলার সহ–আয়োজক হিসেবে আছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য আপা প্রকল্প। দেশের আটটি বিভাগে ধারাবাহিকভাবে এ মেলার আয়োজন করা হবে।

বেলা ১১টায় জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মমতাজ বেগম মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পোস্ট মাস্টার জেনারেল আবু তালেব, যশোরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শফিউল আরিফ, পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক আনোয়ারা বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ই-ক্যাবের পরিচালক আসিফ আহনাফ।

অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের সভাপতি এবং এফিবিসিসিআইয়ের পরিচালক শমী কায়সার বলেন, ‘বর্তমান সরকার উদ্যোক্তা সৃষ্টির যে উদ্যোগ নিয়েছে, ই-ক্যাব সরকারের পাশে থেকে সে কাজে সহযোগিতা করছে। আমরা শুধু উদ্যোক্তা তৈরি করছি না, ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করছি; যা একদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন সফল করবে, অন্যদিকে সরকারের “গ্রাম হবে শহর” স্লোগান এগিয়ে নেবে।’

এক দিনের এই মেলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল। এর মধ্যে দারাজ, ই–ভ্যালি, চালডাল, এসএসএল কমার্জ, প্রিয়শপ, ফাইট এক্সপার্ট, সুন্দরবন কুরিয়ার, রকমারি, আজকের ডিল, সেবা এক্সওয়াইজেড, কক্সবাজার শপ, কিক্সকো, বইঘর, এসটিআইটিবিডি, শপআপ, সূর্যমূখী, ফেমাস ফুড, এরিয়া ৭১, আমার শপ, ইনভেন্টক্রাফ্ট, কাবুলিয়ালা, পিকাবো, এয়ার পোস্ট, ক্রাফট ভিশন, কেনারহাট, অংশসহ বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল।

মেলার পাশাপাশি পার্কের মিলনায়তনে ই-কমার্স, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও ই-কমার্সে নারীদের সম্পৃক্ততা বিষয়ে তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মেলার পৃষ্ঠপোষক দারাজ, ই–ভ্যালি ও চালডাল; অংশীদার হিসেবে রয়েছে এসএসএল কমার্জ, ই-পোস্ট, সুন্দরবন কুরিয়ার, ফাইট এক্সপার্ট, প্রিয়শপ ও কম্পিউটার জগৎ। প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ ছাড় চলছে।

ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, দুই বছর আগে ই-পোস্ট কার্যক্রম চালু করার সময়ে দৈনিক ২–৪টি করে ই-কমার্সের পণ্য সরবরাহ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হতো। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজর ৪০০ ই-কমার্স পণ্য সরবরাহের কাজ করতে হয়।

এ বছরের দ্বিতীয় ই–কমার্সের ডাক মেলা ১৪ মার্চ রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হবে।